বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) আজ শনিবার (১২ এপ্রিল ২০২৫) এক গুরুত্বপূর্ণ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে, যার শিরোনাম ছিল— “যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ: পাল্টা কৌশল ও ভবিষ্যৎ আলোচনা”। রাজধানীর গুলশানে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে শিল্প খাতের নেতৃবৃন্দ ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন করে ভাবনার ওপর জোর দেন।
বৈঠকে আলোচকরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে তুলার অন্যতম বড় ক্রেতা হলেও, তাদের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রবেশাধিকার এখনও নানা শর্ত ও শুল্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আলোচনায় প্রস্তাব আসে—বাংলাদেশের উচিত তুলা আমদানির বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রে কাপড় বা পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি কোটা নির্ধারণের দাবি তোলা।

বিটিএমএ সভাপতি মি. শওকত আজিজ রাসেল তার বক্তব্যে বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলা’র অন্যতম বড় ক্রেতা বাংলাদেশ। তবে, সেখান থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে শর্ত যুক্ত করে দেয়া দরকার। সেক্ষেত্রে তুলা আমদানির বিপরীতে কাপড় বা পোশাক রপ্তানিতে কোটা নির্ধারণ করতে পারে বাংলাদেশ।”

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশী শিল্প উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত জরুরী।”

আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম, যিনি ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতিতে সক্রিয় ভূমিকার উপর জোর দেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোর বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সীমিত হয়ে যাবে। এ বাস্তবতায়, সময়োপযোগী কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করাই এখন সময়ের দাবি।