September 18, 2025

শিরোনাম
  • Home
  • রাজনীতি
  • জামায়াতের আমীরের সঙ্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বৈঠক

জামায়াতের আমীরের সঙ্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বৈঠক

Image

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দলের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

জামায়াত প্রতিনিধি দলে আমীরের সঙ্গে ছিলেন নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন দলের সভাপতি মুনির সাতৌরী। দলে আরও ছিলেন লুক্সেমবার্গের (ইপিপি) ইসাবেলা ভিয়েডার-লিমা, পোল্যান্ডের (ইসিআর) আরকাদিউস মুলারচিক, এস্তোনিয়ার (রিনিউ ইউরোপ) উর্মাস পায়েট, নেদারল্যান্ডসের (দ্য গ্রিন্স) কাতারিনা ভিয়েইরা—সহ আরও অনেকে।

বৈঠক শেষে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে “খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা” হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার উপায়সহ নানা বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ৫৪ বছর পর পরিবর্তনের একটি বিশেষ সুযোগ এসেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল—সংস্কার, বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন—আমরা তা দেখতে চাই। আমরা চাই ‘ফ্রি ও ফেয়ার’ নির্বাচন।”

ডা. তাহের জানান, জাতীয় কনসেনসাস কমিটি (এনসিসি) গঠন করে বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তবে বাস্তবায়ন নিয়ে এখনও মতপার্থক্য রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা ৩১টি দল আলোচনা করেছি, যার মধ্যে ২৬টি দল প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশনের (পিআর) পক্ষে। জামায়াত উভয় কক্ষেই পিআর চায়। আমাদের যুক্তি হলো—গত ৫৪ বছরে প্রচলিত পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি; গত ১৫ বছরের তিনটি নির্বাচনই তার প্রমাণ।”

তিনি বলেন, “পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে একক প্রার্থী কেন্দ্র দখলের প্রবণতা কমবে। অন্তত একবার পরীক্ষামূলকভাবে পিআর সিস্টেমে নির্বাচন হওয়া উচিত। ভালো না হলে পরে পরিবর্তন করা যাবে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, মেয়াদ বাড়ালেই ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে এমন নয়; বরং আন্তরিক হলে স্বল্প সময়েও তা সম্ভব। বর্তমানে সময় নষ্টের কৌশল চলছে কিনা—মানুষও সে প্রশ্ন করছে।

ডা. তাহের বলেন, “আমরা বলিনি নির্বাচনে যাব না। আমরা শুধু বলছি, পিআর পদ্ধতিই উত্তম এবং সেটিই দাবি করছি। আমরা আলোচনায় যেতে চাই, আলোচনা টেবিলে বসেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে এজন্য উদার ও নিরপেক্ষ মানসিকতা প্রয়োজন।”

Scroll to Top