বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াতের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা নিয়েছে দলটি। ইতোমধ্যে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে দলটির নিবন্ধন ইস্যু এখনো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাবে জামায়াত এবং তাদের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফেরত দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়, সে বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আলোচনা করেছি। নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে। আমরা ২৩ দফা দাবি উত্থাপন করেছি, যার মধ্যে অন্যতম হলো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার। কোনো ধরনের সংস্কার ছাড়া অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।”
জামায়াতের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জনগণ চায় স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হোক, তাই আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে। পাশাপাশি আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি, যা সংসদকে কার্যকর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
এছাড়া, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন আইনের কঠোরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নিবন্ধন আইন অত্যন্ত কঠোর, এটি বাতিল করা উচিত। সব রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার সমান অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।”
জামায়াতের এ ধরনের রাজনৈতিক উদ্যোগ আগামী নির্বাচনের সমীকরণে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টি এখন নিবদ্ধ রয়েছে।