December 1, 2025

শিরোনাম
  • Home
  • অন্যান্য খবর
  • মাদ্রিদ থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট: ইউরোপের বইমেলায় বাংলাদেশি প্রকাশক মোহাম্মদ মাসফিকুল্লাহ তন্ময়ের উজ্জ্বল উপস্থিতি

মাদ্রিদ থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট: ইউরোপের বইমেলায় বাংলাদেশি প্রকাশক মোহাম্মদ মাসফিকুল্লাহ তন্ময়ের উজ্জ্বল উপস্থিতি

Image

বাংলাদেশের তরুণ প্রকাশক মোহাম্মদ মাসফিকুল্লাহ তন্ময়, স্টুডেন্ট ওয়েজ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউরোপের দুটি মর্যাদাপূর্ণ বইমেলা—স্পেনের মাদ্রিদের লিবার বুক ফেয়ার এবং জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বুক ফেয়ার—এ অংশ নিয়ে বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন। বইমেলাগুলোতে সরকারি আমন্ত্রণে যোগদানকারী তন্ময়কে ইউরোপীয় সাহিত্য অঙ্গনে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় প্রতিনিধিত্ব হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মাদ্রিদের লিবার বুক ফেয়ার স্প্যানিশ ভাষার সবচেয়ে বড় পেশাদার প্রকাশনা মেলা হিসেবে আন্তর্জাতিক কপিরাইট, অনুবাদ ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের কেন্দ্রবিন্দু। সেখানে অংশ নিয়ে তন্ময় বিশেষভাবে নজর দেন অনুবাদ ও রাইটস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে, যা ভবিষ্যতে বাংলা সাহিত্যের বিশ্ববিস্তারে নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

এরপর বিশ্বে সবচেয়ে বড় প্রকাশনা ইভেন্ট—ফ্রাঙ্কফুর্ট বুক ফেয়ারে যোগ দেন তিনি। শতাধিক দেশের হাজারো প্রকাশকের অংশগ্রহণে এই মেলা বিশ্ব প্রকাশনা শিল্পের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীরা তন্ময়ের উপস্থিতিকে বাংলাদেশের সাহিত্য সম্ভাবনা স্বীকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে উল্লেখ করেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, টেকসই প্রকাশনা এবং ডিজিটাল স্টোরিটেলিংসহ নানা সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা তাকে ভবিষ্যতের প্রকাশনা শিল্প সম্পর্কে গভীর ধারণা দেয়।

এই দুই মেলার মাঝে প্যারিসে কাজী নজরুল ইসলাম সেন্টারের উদ্যোগে তন্ময়কে দেওয়া হয় এক উষ্ণ সংবর্ধনা। ১২ অক্টোবর ফ্রান্সের ওবেরভিলিয়ে অবস্থিত একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কবি সোহেল আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মইনুল হক। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তন্ময় বলেন, “এই সম্মান শুধু আমার নয়, এটি আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সম্মান। প্রবাসে থেকেও আপনারা যে বাংলা সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তার পারিবারিক সাহিত্য ঐতিহ্য, স্টুডেন্ট ওয়েজ-এর অবদান এবং তার নতুন ইমপ্রিন্ট ‘বর্ষাদুপুর’—যা পাঠকদের ভালোবাসা অর্জন করেছে—এসবের প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে ছিল কোরআন তেলাওয়াত, নজরুল গবেষক ও কমিউনিটি নেতাদের বক্তব্যসহ ফরাসি-বাংলাদেশি সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সক্রিয় নাগরিকদের অংশগ্রহণ।

মাদ্রিদ থেকে প্যারিস এবং ফ্রাঙ্কফুর্ট পর্যন্ত তন্ময়ের এই ইউরোপ সফর শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; এটি বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের বৈশ্বিক যাত্রার নতুন অধ্যায়। বাংলা সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরার যে বিস্তৃত সুযোগ তৈরি হয়েছে, তন্ময়ের উপস্থিতি তা আরও দৃঢ় করেছে। সংস্কৃতি, সাহিত্য ও উদ্ভাবনের বৈশ্বিক আলোচনায় বাংলাদেশি প্রকাশকদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পথেই তিনি এক উজ্জ্বল নজির স্থাপন করলেন।

Scroll to Top