বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থান অর্জনের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল বলে মনে করছেন কোরিয়ান ইপিজেডের প্রতিষ্ঠাতা কিয়াক সুং। তিনি বলেন, সময়োপযোগী কৌশল ও কার্যকর সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশ দ্রুত এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল ২০২৫) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনের ‘টেক্সটাইল ও পোশাক’ বিষয়ক অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেশনে অংশ নিয়ে তিনি বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।
তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম একক পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে অবস্থান করছে। তবে প্রথম স্থানে যেতে হলে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ, দক্ষ জনবল গড়ে তোলা এবং নিজস্ব কাঁচামাল উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।
সুং আরও বলেন, “শিল্পের গতি বাড়াতে এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নীতিগত সহায়তা অপরিহার্য। পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক বন্ডেড ওয়্যারহাউজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে কাঁচামাল দ্রুত হাতে পাওয়া যায় এবং উৎপাদন-রপ্তানি প্রক্রিয়া ঝামেলাবিহীন হয়।”
সাম্প্রতিক বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ট্রাম্প আমলের শুল্কনীতির তিন মাসের স্থগিতাদেশ কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের দ্রুত ও সচেতন পদক্ষেপ প্রশংসনীয়।”
ভবিষ্যতের রপ্তানি কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এখন সময় উচ্চমূল্যের পোশাক তৈরিতে মনোনিবেশ করার। তিনি সতর্ক করেন, “কম দামের পণ্যের ওপর নির্ভরতা আমাদের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দিতে পারে।”
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ-এর প্রশাসক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনও বক্তব্য রাখেন এবং খাতটির সার্বিক অগ্রগতি ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করেন।