জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)-র ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে খাদ্য হয়ে উঠেছিল স্মৃতি, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের এক অনন্য সেতুবন্ধন। খাদ্যের ঐতিহ্য, উদ্ভাবন এবং টেকসই উন্নয়নের ধারণাকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয় বিস্মৃত-প্রায় খাবার ও রান্নার গল্প বলার একটি অনুপ্রেরণাদায়ক সেশন, যেখানে বর্তমান ও অতীতের স্বাদ একসঙ্গে মিশে যায় এক নরম উষ্ণতায়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, ফরিদা আখতার। শৈশবের খাদ্য স্মৃতি নিয়ে তাঁর প্রাণময় reminiscing পুরো সেশনকে নিয়ে যায় অন্য আলোয়— যেন পুরোনো রান্নাঘরের ধোঁয়া, মাটির চুলা, দাদী-নানীর হাতের স্বাদ আবার জীবন্ত হয়ে ওঠে।

শিশুদের সঙ্গে তাঁর প্রাণবন্ত আলাপচারিতা অনুষ্ঠানে যোগ করে এক আন্তঃপ্রজন্মের সেতু; দাদু-দাদী ও নানা-নানীর খাবার খাওয়ার অভ্যাসের গল্পে ফুটে ওঠে হারিয়ে যাওয়া খাদ্য ঐতিহ্যের অনুরণন।

এ সময় তুলে ধরা হয় বহু বিস্মৃত-প্রায় খাবার, যা তাৎক্ষণিকভাবে রান্না করেন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের এক্সিকিউটিভ শেফ জুলিয়ান শীতল বটলেরো এবং শস্য প্রবর্তনার শেফ আদনান জাহিদ। ঐতিহ্যবাহী শস্য, মসলা ও জলবায়ু সহনশীল জাতের সুশোভিত উপস্থাপনা যেন হয়ে ওঠে বাংলাদেশের খাদ্য ইতিহাসের ক্ষুদ্র অথচ প্রাণবন্ত এক প্রদর্শনী।











