অনলাইন ডেস্কঃ
গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পের বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ও নিত্য-নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শনে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেসের (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ) আয়োজনে ঢাকার পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বিগত ২২ বছরের ধারাবাহিকতায় ৬-৯ নভেম্বর চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ‘টেক্সটাইল সিরিজ অফ এক্সিবিশন’ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল সিরিজ অফ এক্সিবিশনের বাংলাদেশ সংস্করণ: ‘২৩তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০২৪ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’, ‘২২তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফ্যাব্রিক শো ২০২৪ – সামার এডিশন’ এবং ‘৪৫তম ডাই-কাম বাংলাদেশ ২০২৪ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’ এর পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (৬ নভেম্বর, ২০২৪) প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব নাসরীন জাহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) নির্বাহী সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) শাহ মোহাম্মদ মাহবুব, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম।
মেহেরুন এন. ইসলাম প্রদর্শনীসমুহ আয়োজনের নানাবিধ বিষয় তুলে ধরে বলেন, এই তিনটি প্রদর্শনী বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পের সর্ববৃহৎ এবং সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী, যা বিগত ২২ বছরের ধারাবাহিকতায় এবছর ২৩তম বারের ন্যায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রদর্শনীসমূহ ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের জন্য বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সর্ববৃহৎ বিজনেস-টু-বিজনেস (বি-টু-বি) মিটিং প্লেস, যেখানে ব্যবসার প্রসারে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে ক্রেতা এবং সরবরাহকারীরা কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রদর্শনীসমূহ বিদেশি ও দেশি সরবরাহকারী, ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সর্ববৃহৎ মিলনমেলা হওয়াতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের দেশের বাইরে গিয়ে ক্রেতা অনুসন্ধান বা ভিসা জটিলতা পোহাতে হচ্ছে না।
বরং, অর্থ, শ্রম ও সময়ের সাশ্রয়ে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্প সংশ্লিষ্ট ক্রেতা এবং সরবরাহকারীরা এক ছাদের নিচে একত্রিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে বাংলাদেশের সুদীর্ঘ ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং বাংলাদেশকে বিজনেস হাব হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সেমস-গ্লোবালের এ প্রদর্শনীসমূহ সহায়ক হবে। পাশাপাশি, এ তিন প্রদর্শনীতে আগত বিদেশি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বাংলাদেশ ভ্রমণ পর্যটন ক্ষেত্রেও ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করেছে।
এ প্রদর্শনীসমূহ সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ আয়োজিত টেক্সটাইল সিরিজ অফ এক্সিবিশনের একটি অংশ যা প্রতি বছর বাংলাদেশ, ব্রাজিল, মরক্কো, থাইল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়। টেক্সটাইল সিরিজ অফ এক্সিবিশন ইতোমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পের অগ্রগতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। প্রদর্শনীসমূহে ২ হাজার ২৪৫ টির অধিক বুথসহ ৩৭টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৪৭৫টিরও বেশি কোম্পানি অংশ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, আয়োজক প্রতিষ্ঠান কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ) নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটি পেশাদার বহুজাতিক প্রদর্শনী ও সম্মেলন আয়োজক সংস্থা। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত সেমস-গ্লোবাল ৩২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৪টি মহাদেশে বাণিজ্য ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক খাত সংশ্লিষ্ট পেশাদার বিজনেস-টু-বিজনেস (বি-টু-বি) ট্রেড শো আয়োজন করে আসছে। বিশ্বের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও উন্নয়নশীল দেশে প্রতি বছর সংগঠনটি নানাবিধ ট্রেড শো আয়োজনের মাধ্যমে নির্মাতা এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পক্ষেত্রের অগ্রগতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া, সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা হিসেবে ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন, সরকার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাজার গবেষণা, রপ্তানি কৌশল উন্নয়ন, অংশীদার সনাক্তকরণ এবং বাণিজ্য প্রচারসহ নানাভাবে সহায়তা করছে।
সূত্রঃ বাসস।