June 18, 2025

শিরোনাম
  • Home
  • অর্থ ও বাণিজ্য
  • চার খাতের নীতিগত সংস্কারে বছরে ৩৫ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ: আইএফসি’র সিপিএসডি প্রতিবেদন

চার খাতের নীতিগত সংস্কারে বছরে ৩৫ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ: আইএফসি’র সিপিএসডি প্রতিবেদন

Image

বাংলাদেশে চারটি প্রধান খাতের কাঠামোগত ও নীতিগত সংস্কার বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব — এমনটি উঠে এসেছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)-এর ‘কান্ট্রি প্রাইভেট সেক্টর ডায়াগনস্টিক (CPSD)’ শীর্ষক এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল, ২০২৫) রাজধানীতে চলমান চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের আবাসন, রং শিল্পের কাঁচামাল, তৈরি পোশাক এবং ডিজিটাল আর্থিক সেবা খাতে যথাযথ সংস্কার আনলে উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আবাসন খাতে জমির নিবন্ধন, ডিজিটাল ম্যাপিং ও অপ্রাসঙ্গিক মূল্যে ভূমি কেনাবেচা সংক্রান্ত জটিলতা দূর করা গেলে এ খাতে বছরে প্রায় ২৩ লাখ ৭ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে, শিল্পে ব্যবহৃত রংয়ের কাঁচামাল আমদানিতে উচ্চ শুল্ক ও দীর্ঘ শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সহজ করা গেলে বাড়তি ৬.৫ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ডিজিটাল আর্থিক খাতে বিশেষ করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মার্চেন্ট লেনদেনের সীমা সংশোধনসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক জটিলতা দূর করলে এ খাত থেকে প্রায় ৪ লাখ ৬০ হাজার কর্মসংস্থান আসতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়।

ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নয়নে প্রতিবেদনটি পাঁচটি প্রধান প্রতিবন্ধকের কথাও তুলে ধরে: বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি, অর্থায়নের সীমাবদ্ধতা, দুর্নীতি, অনানুষ্ঠানিক খাতের আধিক্য এবং জটিল করব্যবস্থা।

প্রতিবেদন উপস্থাপনার পর দুটি পৃথক প্যানেল আলোচনায় দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ এবং সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে উন্নয়নের করণীয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। প্রথম প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হোল্টম্যান।

লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, “প্রতিবেদনে যেসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো নতুন নয়। তবে এসব সমস্যার সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে।”

বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার, এবং এই প্রতিবেদনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করবে।

দ্বিতীয় প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন, বিকাশের সিইও কামাল কাদীর, অনন্ত গ্রুপের এমডি শরিফ জহির, এবিসি রিয়েল এস্টেটের এমডি শ্রাবন্তী দত্ত এবং নিপ্পন পেইন্টের হেড অব অপারেশনস অরুণ মিত্রা।

শরিফ জহির বলেন, “ব্যবসায়িক পরিকাঠামোর ঘাটতি বড় চ্যালেঞ্জ। অবকাঠামো উন্নত হলে কর্মসংস্থান দ্বিগুণ বা তারও বেশি হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “সব সমস্যার সমাধান সম্ভব, যদি একটি সুসংগঠিত রোডম্যাপ থাকে।”

Scroll to Top