বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা যাচাই করতে আগামী মাসে ২০০ বিনিয়োগকারীসহ চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও নিয়ে ঢাকা সফরে আসছেন।
বুধবার (৯ এপ্রিল, ২০২৫) বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “চীনের বাণিজ্যসচিবের পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, তাদের বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রায় ২০০ সদস্যের বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে। তারা বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানতে চায় এবং আমরা যদি উপযুক্ত সহায়তা দিতে পারি, তারা তাৎক্ষণিকভাবে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতেও প্রস্তুত।”
বিডা চেয়ারম্যান জানান, এবারের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত নেতিবাচক ধারণা দূর করে একটি বাস্তব ও ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরা। তিনি বলেন, “জার্মান প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আজকের আলোচনায় দেখা গেছে, অধিকাংশ সদস্যই এবারই প্রথম বাংলাদেশে এসেছেন। তাদের প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট, তারা সম্ভাবনা দেখছেন।”
এরই মধ্যে চীনের হানডা কোম্পানির সঙ্গে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রাথমিক বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলেও তিনি জানান। শ্রমঘন শিল্প, বিশেষ করে গার্মেন্টস, টেক্সটাইল এবং ওষুধ খাত বিনিয়োগকারীদের প্রধান আকর্ষণ হিসেবে উঠে এসেছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে চৌধুরী আশিক বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্পে বিনিয়োগের জন্য আমাদের পরিকল্পনা আছে। নীতিগতভাবে আমরা মনে করি প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য মিলিটারিতে কিছু ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ট্যাংক বানাতে হবে না, আমাদের স্পেসশিপ, ফাইটার জেট বানানোর দরকার নেই। আমরা সীমিত আকারে অ্যাডভান্স রেডিও, ট্যাংকের এক্সেল, স্মল বুলেট ও স্মল আর্মস ইত্যাদি বানাতে পারি। এগুলোরও কিন্তু অনেক চাহিদা।
তিনি আরও জানান, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে একটি ‘মিলিটারি ইকোনোমিক জোন’ গঠনের ধারণা নিয়েও কাজ চলছে। তবে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং এতে সাইবার সিকিউরিটি, আইটি অধিকার, নীতিমালা ও নীতিগত নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে।