গত মঙ্গলবার (১৫ই অক্টোবর, ২০২৪) রাজধানীর একটি হোটেলে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ সিজন-২ সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সহযোগী পার্টনারদের নিয়ে একটি বিশেষ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় আইসিটি অলিম্পিয়াডের বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে মতবিনিময় করা হয়, যেখানে সিজন-২ আয়োজনের সফলতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরও সম্পন্ন হয়।
প্রযুক্তির এই যুগে শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উপর নির্ভর করে সফল ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব নয়। সফল ক্যারিয়ার গড়তে প্রয়োজন আইসিটিতে দক্ষ হওয়া। বর্তমান বিশ্বের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে, তাই প্রযুক্তি ও আইসিটির জ্ঞান অর্জন অত্যন্ত জরুরি।
আইসিটি অলিম্পিয়াড সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে—পরবর্তী প্রজন্মকে দক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। এই অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে আইসিটি জ্ঞানকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী আইসিটির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবগত হতে পারে এবং তাদের মেধা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
আইসিটি অলিম্পিয়াড সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা এবং এর কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন কোর্স ও কনটেন্ট তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিটি কনটেন্টে থাকবে আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং বাস্তব জীবনের উদাহরণ, যা শিক্ষার্থীদের ও মেন্টরদেরকে আইসিটি জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে সহায়তা করবে। এই কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা কেবলমাত্র তাত্ত্বিক জ্ঞানই নয়, ব্যবহারিক দক্ষতাও অর্জন করতে পারবে, যা তাদের ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। ইতিমধ্যে সাইবার সিকিউরিটি, ব্লকচেইন, রোবোটিক্স সহ ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স, কমিউনিকেশন স্কিলস কোর্স মেন্টর ও শিক্ষার্থীদেরকে পার্টনারদেরকে ফ্রি দেয়া হচ্ছে।
এই মিটআপের আয়োজক আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ, দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি শিক্ষা প্রচারক হিসেবে জাতীয়ভাবে প্রযুক্তিগত জ্ঞান বৃদ্ধি ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী পার্টনাররা আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা, পূর্ববর্তী কার্যক্রমের মূল্যায়ন এবং ভবিষ্যতের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আলোচনার পাশাপাশি কীভাবে আরও বৃহত্তর পরিসরে প্রতিযোগিতার বিস্তার ঘটানো যায়, সে বিষয়েও মতবিনিময় হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল চুক্তি স্বাক্ষর পর্ব, যেখানে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ এবং এর বিভিন্ন পার্টনারদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো অলিম্পিয়াডের বিভিন্ন কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের ভবিষ্যৎ সহযোগিতার দিকগুলো স্পষ্ট করেন এবং অলিম্পিয়াডকে আরও সমৃদ্ধ ও সফল করতে কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন, তা নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রাথমিক অবস্থায় চুক্তি স্বাক্ষর করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে নেক্সক্রাফট, আইএমবিডি, কিডজু, অক্টাগ্রাম, ফারভেন্ট, অ্যাস্ট্রোনমি পাঠশালা , পিএসও, সহজ কোডিং, কলি প্রকাশনী, রেন্টামো, মাইন্ডশেপার, দৈনিক শিক্ষা, নেক্সফ্লাই, এডভয়, স্টেলার’স চেম্বার, কিডস কোড, ডার্ক কাক, দ্য বিজম্যান ম্যাগাজিন, টিএনএন, এসএসআই, লিভলাক্স, আমর পে, জিইএফ, সিটিসি, নেক্সএকাডেমি, হুইসল এবং টিন সেভার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষ অতিথিরা তাদের মতামত প্রদান করেন এবং আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশকে একটি জাতীয় পর্যায়ের শিক্ষা উদ্যোগ হিসেবে তুলে ধরার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান নিপু, ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর শাহ আলম চৌধুরী, চিফ এডুকেটর ওয়াহিদ নিউটন, প্রজেক্ট ডিরেক্টর এম আব্দুল্লাহ সহ ট্রাস্টি বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ সিজন-টু সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
http://www.ictolympiadbangladesh.com