December 1, 2025

শিরোনাম
  • Home
  • আন্তর্জাতিক
  • ওমান ও বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতা সমৃদ্ধির পথ তৈরি করছে: ওমানের রাষ্ট্রদূত

ওমান ও বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতা সমৃদ্ধির পথ তৈরি করছে: ওমানের রাষ্ট্রদূত

Image

বাংলাদেশে নিযুক্ত ওমান দূতাবাস বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) “ওমানের মহিমান্বিত জাতীয় দিবস” এবং বাংলাদেশ-ওমান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। অনুষ্ঠানটি বর্ণাঢ্যভাবে আয়োজিত হয় এবং এতে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. সি.আর. আবরার, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ওমানের ৫৫তম জাতীয় দিবস উদযাপনে অংশ নিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি মাহমুদ সুলতান মৈথম বিনতারিক এবং প্রিয় ওমান জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমি দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত জামিল বিন হাজী বিন ইসমাইল আল বালুশীকে সৌজন্যমূলক আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানাই।”

ড. আবরার আরও বলেন, “বাংলাদেশ ও ওমানের সম্পর্ক বহু শতাব্দীর পুরনো, যা বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও সাধারণ মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। ১৯৭৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক গভীর বন্ধুত্ব, পারস্পরিক সম্মান এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে স্থাপন হয়েছে। এই বছর আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের স্বর্ণজয়ন্তী, যা আমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও ভবিষ্যৎ অগ্রগতির প্রতিফলন।”

তিনি ব্যবসা, কৃষি, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মানবসম্পদ, খাদ্য নিরাপত্তা ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রসারকে গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ ও ওমানের মধ্যে যৌথ বিজনেস কাউন্সিল এবং কমার্স কমিটি গঠনের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হবে বলেও উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত জামিল বিন হাজী বিন ইসমাইল আল বালুশী বলেন, “এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি গর্বিত। আজ আমরা ওমানের সমৃদ্ধ ইতিহাস উদযাপন করছি, যা ১৭৪৪ সালে ইমাম মুহাম্মদ বিসাঈদ আল হুসেইনিয়ার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমান সময়ে, আমাদের দেশ সুলতান হায়েসান বিনতারিকের নেতৃত্বে ‘ওমান এশিয়া ২০৪০’ লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে শক্তিশালী অর্থনীতি, উন্নয়নশীল সমাজ এবং আধুনিক প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলা হচ্ছে।”

রাষ্ট্রদূত আরও উল্লেখ করেন, “ওমান ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর ও সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতা দুই দেশের জনগণের কল্যাণ এবং দারিদ্র্য হ্রাসে অবদান রাখছে। আমরা একসঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ এবং উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।”

অনুষ্ঠানে ওমানের জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয় এবং দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাস তুলে ধরা হয়। কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এছাড়াও ওমানের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।

Scroll to Top