আজ (১৬ জুলাই, ২০২৫) গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত এক শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ভয়াবহ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এক বিবৃতিতে সরকার এই সহিংসতাকে “চরমভাবে অগ্রহণযোগ্য” এবং “নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের লজ্জাজনক উদাহরণ” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আজ গোপালগঞ্জে সহিংসতার ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে অমার্জনীয়। তাদের বৈপ্লবিক আন্দোলনের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অধিকার থেকে দেশের তরুণ নাগরিকদের বিরত রাখা মৌলিক অধিকার হরণ।”
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সমাবেশে অংশ নেওয়া এনসিপি নেতাকর্মী, পুলিশ এবং সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং অনেককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এই বর্বরোচিত হামলার জন্য দায়ী হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগপন্থী কর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জোর দিয়ে জানায়, “এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশের মাটিতে এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।”
বিবৃতিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের প্রশংসা জানানো হয় এবং ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যেও যারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন, সেইসব ছাত্র ও জনগণের সাহসিকতা ও দৃঢ় মনোবলের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।
শেষে সরকার সাফ জানিয়ে দেয়, “নৃশংসতা যারা চালিয়েছে, তারা বিচার থেকে রেহাই পাবে না। আমাদের দেশ শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক – এখানে সহিংসতার কোনো জায়গা নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠা পাবে।”