June 10, 2025

শিরোনাম
  • Home
  • অর্থ ও বাণিজ্য
  • ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ওপর এফবিসিসিআই-এর পর্যবেক্ষণ

২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ওপর এফবিসিসিআই-এর পর্যবেক্ষণ

Image

বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ঘোষণা করায় মাননীয় অর্থ উপদেষ্টাকে এফবিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। গত জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে নতুন প্রেক্ষাপটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি যৌক্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট প্রণয়নে জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার ৭ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে যা বিগত অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাজেটে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ৫.২৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৫ শতাংশনির্ধারণ করা হয়েছে।উচ্চ বিলাসী বাজেট থেকে সরে এসে বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট প্রণয়ন ও সতর্কতার সাথে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে প্রচেষ্টা গ্রহণ করায় সরকারকে এফবিসিসিআই-এর পক্ষ হতে সাধুবাদ জানাচ্ছি।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা- যা জিডিপি’র ৯.০%। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্য ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আসবে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদীহিতা এবং তদারকির মান ক্রমাগতভাবে উন্নয়নের জন্য সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা ও পরিকল্পনা নিশ্চিত করা জরুরী। এছাড়াও বাজেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি এবং বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার জন্য এফবিসিসিআই আহ্বান জানাচ্ছে।

শূন্য দারিদ্র, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বনভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে এদেশের মানুষের জীবন মানের উন্নতি ও বৈষম্যের দুষ্টচক্র থেকে বের হয়ে আসার যে লক্ষ্য সরকার নির্ধারণ করেছে তার সফল বাস্তবায়ন আমরা কামনা করছি। এবারের বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুশাসন, নাগরিক সুবিধা, সামাজিক সুরক্ষা, কর্মসংস্থান, টেকসই উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষ জোর দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।অপ্রয়োজনীয় ও অনুৎপাদনশীল ব্যয় হ্রাস করার বিষয়ে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য এফবিসিসিআই আহ্বান জানাচ্ছে।

সেসাথে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উত্তরণের লক্ষ্যে Smooth Transition Stragtegy (STS) এর আওতায় বাণিজ্যিক খাতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাজেটে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে যা অত্যন্ত ইতিবাচক। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে ট্যারিফের হার ধীরে ধীরে হ্রাস করা একটি যৌক্তিক পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করি।

প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ২ লক্ষ ২৬ হাজার কোটি টাকা যা জিডিপি’র ৩.৬ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে সরকারকে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধ বাবদ ১ লক্ষ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সুদ পরিশোধ বাবদ ২২ হাজার কোটি টাকা সহ সরকারকে মোট ১ লক্ষ ২২ হাজার কোটি টাকা সুদ পরিশোধ করতে হবে। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অধিক মাত্রায় সরকারের ঋণ গ্রহণ বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। বাজেট ঘাটতি মেটাতে স্থানীয় ব্যাংক ব্যবস্থার পরিবর্তে যথাসম্ভব সুলভ সুদে ও সতর্কতার সাথে বৈদেশিক উৎস হতে অর্থায়নের জন্য নজর দেয়া যেতে পারে।

বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের (স্যোশাল সেফটি নেট) আওতা বাড়ানো হয়েছে। এ উদ্যোগ সামাজিক নিরাপত্তা সুসংহত এবং সামাজিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি। তবে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের নিকট যাতে এ সুবিধা যথাযথভাবে পৌছায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প উন্নয়নে ১৫ হাজার নতুন উদ্যোক্তা তৈরী, ২৫ হাজার উদ্যোক্তাকে দক্ষতামূলক ও কারিগরী প্রশিক্ষণ প্রদানসহ নারী উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক পর্যায়ে সিএমএসএমই খাতের ১০ হাজার উদ্যোক্তাকে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসার পরিবেশ অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেসাথে তরুণ-যুবাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গভীরভাবে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে যা একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। তবে এর যথাযথ বাস্তবায়নে মনিটরিং কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় আগামী ২০২৬-২০২৭ ও ২০২৭-২০২৮ কর বর্ষের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধিকরে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। যদিও এফবিসিসিআই থেকে এ সীমা ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। করমুক্ত সীমা বৃদ্ধি বিষয়ে এফবিসিসিআই-এর প্রস্তাব পুন:বিবেচনা করার প্রস্তাব করছি। নতুন করদাতাদের ন্যূনতম করের পরিমান ১,০০০/- টাকা নির্ধারণ করায় নতুন করদাতাগণ কর প্রদানে উৎসাহিত হবেন বলে আমরা মনে করি।

মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার ৩৭.৫% থেকে কমিয়ে ২৭.৫% নির্ধারণ করার সুফল পুঁজিবাজারে আসবে বলে আমরা মনে করি। সেসাথে লিস্টেড এবং নন-লিস্টেড কোম্পানির করহারের ব্যবধান ৫% হতে বাড়িয়ে ৭.৫% ও ব্রোকারেজ হাউজসমূহের নিকট হতে উৎসে কর সংগ্রহের হার ০.০৫% হতে হ্রাস করে ০.০৩% নির্ধারণ করার প্রস্তাব বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।

পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানী যাদের পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের অধিক শেয়ার আইপিও-এর মাধ্যমে হস্তান্তরিত হয়েছে তাদের যদি ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে আয়-ব্যয় হয় তবে তাদের করহার ২২.৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ২০% করা হয়েছে যা একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। তবে শর্তটি শিথিল করা যেতে পারে।

কর কাঠামোর বিদ্যমান অসামঞ্জস্যতা দূরীকরণ এবং কর জাল সম্প্রসারণে বেশকিছু ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআই-এর প্রস্তাবসমূহ বিশেষভাবে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে –

  • ঠিকাদারি কাজ হতে উৎসে কর কর্তনের হার ৭% থেকে হ্রাস করে ৫% নির্ধারণ।
  • ধান, চাল, গম, আলু, পাট, কাঁচা চা পাতা ইত্যাদি সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তন ১% থেকে কমিয়ে ০.৫% নির্ধারণ।
  • জমি হস্তান্তর হতে উৎসে কর সংগ্রহের মূলধনী মুনাফা করহার কমিয়ে এলাকা ভেদে বিদ্যমান ৮%, ৬% ও ৪% এর স্থলে যথাক্রমে ৬%, ৪% ও ৩% নির্ধারণ।
  • পরিবেশ-বান্ধব রিসাইক্লিং শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের হার ৩% এর স্থলে ১.৫% নির্ধারণ।
  • ইন্টারনেট সেবা থেকে উৎসে কর কর্তনের হার ১০% এর স্থলে ৫% নির্ধারণ।
  • বিদ্যুৎ ক্রয়ের অর্থ পরিশোধকালে উৎসে কর কর্তনের হার ৬% এর স্থলে ৪% নির্ধারণ।

অনধিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষি হতে আয় করমুক্ত রাখা, বেসরকারি চাকুরীজীবিদের করযোগ্য আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বাদযোগ্য অংকের পরিমান ৪.৫ লক্ষ টাকা হতে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা এবং কর্মচারীকে প্রদত্ত পারকুইজিট অনুমোদনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ লক্ষ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০ লক্ষ টাকা করার প্রস্তাব করদাতাদের স্বেচ্ছা পরিপালনকে উৎসাহিত করবে।

উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে আগাম করের হার ৩% থেকে কমিয়ে ২% নির্ধারণ করা হয়েছে যা অত্যন্ত ইতিবাচক। তবে বাণিজ্যিক আমদানিকারকের ক্ষেত্রে আগাম কর ৫% হতে বাড়িয়ে ৭.৫% নির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্মাণ সংস্থার সেবার বিপরীতে ভ্যাটের হার ৭.৫% থেকে বাড়িয়ে ১০%, সেল্ফ কপি পেপার, ডুপ্লেক্স বোর্ড/কোটেড পেপার এর উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটের হার ৭.৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫%, প্লাস্টিকের তৈরী সামগ্রীর উপর উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটের হার ৭.৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫%, কটন সুতা এর উৎপাদন পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট করের পরিমান প্রতি কেজি ৩ টাকার স্থলে ৫ টাকা নির্ধারণ, কৃত্রিম আঁশ এবং অন্যান্য আঁশের সংমিশ্রণে তৈরী ইয়ার্ন-এর উৎপাদন পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট করের পরিমান প্রতি কেজি ৩ টাকার স্থলে ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেসাথে এমএস প্রোডাক্ট-এর উৎপাদন পর্যায়ে আরোপিত সুনির্দিষ্ট কর প্রায় ২০% বৃদ্ধি করা হয়েছে – যা এসব খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

অনলাইনে পণ্য বিক্রয়ের কমিশনের উপর ভ্যাটের হার ৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫% নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেহেতু ডিজিটাল ইনক্লুশনের ক্ষেত্রে ই-কমার্স ভ‚মিকা রাখছে সেজন্য খাতের সম্প্রসারণের স্বার্থে ভ্যাটের হার বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

শিল্প প্রতিষ্ঠানের মূলধনী যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল/উপকরণ আমদানীর ক্ষেত্রে এইচ এস কোড এবং পণ্যের বর্ণনা সংক্রান্ত অসত্য বিবৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে জরিমানা পূর্বের থেকে হ্রাস করে অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমান নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে আমদানিকারকগণের আর্থিক ক্ষতি কমবে এবং হয়রানি থেকে রেহাই পাবেন – যা ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনে সহায়ক হবে।

আয়করের ক্ষেত্রে পণ্যের ন্যূনতম করহার গ্রস প্রাপ্তির ০.৬০% থেকে বৃদ্ধি করে ১% নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে কার্যকর করহার আরও বেড়ে যাবে। এ হার পূর্বের ন্যায় ০.৬০% বহাল রাখার জন্য অনুরোধ করছি।

এপিআই, মোবাইল ফোন, লিফট, এলপিজি সিলিন্ডার, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক আইটেম, মোটর কার ও মোটর ভেহিক্যাল, ফোর স্ট্রোক থ্রি-হুইলার প্রভৃতির স্থানীয় উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে যা এসব শিল্পের জন্য সহায়ক হবে।

এছাড়াও মূদ্রণ ও প্রকাশনা, ঔষধ শিল্পের মোড়ক, গাড়ীর টায়ারসহ বেশকিছু শিল্প পণ্যের কাঁচামাল এবং কতিপয় পেট্রোলিয়াম পণ্যের শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে যা ইতিবাচক উদ্যোগ।

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতি হিসেবে বেশকিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার ও হ্রাস করা হয়েছে। এতে জনসাধারণের উপরও করের ভার কিছুটা কমবে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ভেঙ্গে পড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, শিল্প খাতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা, ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, ব্যবসায়ীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার মত কঠিন চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে বর্তমান আন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মধ্যেই সরকার আগামী অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট ঘোষনা করেছে। আমরা মনে করি বাজেটে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ অর্থনীতিকে স্বাভাবিক গতিতে ফিরিয়ে আনতে ভ‚মিকা রাখবে।

সরকার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিগুলো পর্যালোচনা এবং বিদুৎ উৎপাদন ব্যয় কমাতে এনার্জি অডিট করার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান সংস্থা বাপেক্স-এর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে যা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। বিদ্যুৎ ও জ¦ালানী খাতের উন্নয়নে এ সিদ্ধান্তসমূহের যথাযথ বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে।

এফবিসিসিআইয়ের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ন প্রস্তাবনা জাতীয় বাজেটে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এজন্য সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অর্থবিল এবং বাজেট সম্পর্কিত আয়কর, মূসক ও শুল্ক প্রজ্ঞাপনগুলি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এফবিসিসিআই-এর সদস্য সংগঠন থেকে আমরা তাদের মতামত চেয়েছি। সংগঠনের মতামত পেলে আলোচনা করে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর এফবিসিসিআই-এর বাজেট পরবর্তী সুপারিশ সরকারের নিকট উপস্থাপন করা হবে।

Scroll to Top