June 1, 2025

শিরোনাম
  • Home
  • অর্থ ও বাণিজ্য
  • স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সাসটেইনেবিলিটি উদ্যোগ ৫ বছরে ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষকে উপকৃত করবে

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সাসটেইনেবিলিটি উদ্যোগ ৫ বছরে ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষকে উপকৃত করবে

Image

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ (এসসিবি) গত পাঁচ বছরে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতায় পরিচালিত উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষকে উপকৃত করেছে। রোববার (১৮ মে, ২০২৫) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় ‘স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনার ভিত্তিতে। এতে ব্যাংকটির বহুমাত্রিক সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) কার্যক্রমের নানা দিক তুলে ধরা হয়।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসের এজাজ বিজয়, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান বিতোপি দাস চৌধুরী, এনজিও ফ্রেন্ডশিপ-এর নির্বাহী পরিচালক রুনা খান, ইউসিইপি বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল করিম, ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটাল-এর সিইও একে এম আখতারুজ্জামান এবং টিএমএসএস-এর প্রতিষ্ঠাতা ড. হোসনে-আরা বেগম আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “শুধুমাত্র ২০২৪ সালেই আমাদের CSR কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। এর মধ্যে কৃষক, তরুণ, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং সমাজের দুর্বল জনগোষ্ঠী রয়েছে।”

সংস্থার কার্যক্রম উপস্থাপন করে বিতোপি দাস চৌধুরী জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (SDG) সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দূরবর্তী অঞ্চলগুলোতেও এসসিবির সহযোগিতামূলক কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইস্পাহানী ইসলামিয়া হাসপাতালের সহযোগিতায় এসসিবির সহায়তায় প্রায় ১১.৫ লাখ মানুষকে চোখের যত্নসেবা প্রদান করা হয়েছে।

হাসপাতালটির সিইও এ কে এম আখতারুজ্জামান বলেন, “চোখের স্বাস্থ্য টেকসই উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা ব্যক্তিগত জীবনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।” তিনি জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সারাদেশে ২.৫ লাখ স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য চোখের যত্ন, স্ক্রিনিং, স্ক্যানিং ও অস্ত্রোপচারের বিশেষ প্রকল্প চালু হয়েছে।

ফ্রেন্ডশিপ-এর রুনা খান বলেন, কর্পোরেট সহযোগীরা এখন শুধু অর্থ খরচ নয়, কার্যক্রমের বাস্তব প্রভাব দেখতে চান। তিনি জানান, এসসিবি ও ফ্রেন্ডশিপের সহযোগিতায় একটি প্রত্যন্ত চর অঞ্চলে ‘সোলার ভিলেজ’ স্থাপন করা হয়েছে, যার প্রভাব স্থানীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।

“তিন বছর আগেও যারা ৫০০ টাকার নোট দেখেনি, আজ তারা ২ লাখ টাকার ঋণ খুঁজছেন ব্যবসা সম্প্রসারণে,” বলেন তিনি।

Scroll to Top