সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুপ্তহত্যা ও হামলার ঘটনায় দেশের শিক্ষার্থীরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এই অবস্থাকে অতীতের বিভিন্ন ইস্যুতে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নমনীয়তার ফলাফল বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা রবিবার (২২ ডিসেম্বর, ২০২৪) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে ৪ দফা দাবী পেশ করেছেন। দাবিগুলো নিম্নরূপ:
১. স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন
সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে নিষিদ্ধ সংগঠন বা বিগত সরকারের দোসরদের যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা নির্ধারণে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গঠন করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।
২. প্রতিটি থানায় ক্রাইম পেট্রোলিং জোরদার
প্রতিটি থানায় ২৪/৭ টহলের জন্য কমপক্ষে ৫টি টহল গাড়ি নিযুক্ত করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আশপাশে বিশেষ নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. ওয়ার্ডভিত্তিক পাহারা টিম গঠন
প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থলে নন-লিথ্যাল অস্ত্রধারী ৪ সদস্যের একটি প্লাটুন নিযুক্ত করতে হবে। তাদের ভাতা সরকারি তহবিল থেকে নিশ্চিত করতে হবে।
৪. বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও সংশ্লিষ্টদের নির্মূলকরণ
নিষিদ্ধকৃত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে সংশ্লিষ্ট সক্রিয় নেতা-কর্মী এবং তাদের সহযোগীদের নির্মূলের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
সম্মিলিত শিক্ষার্থীরা এই দাবিগুলো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।