শিশু অধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে পোশাক শিল্পের অবদানকে তুলে ধরে বিজিএমইএ-এর সহ-সভাপতি বিদ্যা অমৃত খান বলেছেন, সদস্য কারখানাগুলোতে শিশু শ্রমের কোনো স্থান নেই।
তিনি বলেন, “বিজিএমইএ কঠোর কমপ্লায়েন্স নীতি অনুসরণ করে এবং শিশু শ্রমের বিষয়ে আমাদের জিরো-টলারেন্স নীতি দীর্ঘদিন ধরে বজায় রয়েছে।”

সোমবার (১ ডিসেম্বর ২০২৫) বাংলাদেশ–চীন ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টার (বিসিএফসিসি)–তে ইউনিসেফ বাংলাদেশের আয়োজনে Child Rights Manifesto 2025–এর জনসম্মুখে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একজন স্বনামধন্য বক্তা হিসেবে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সিভিল সোসাইটি, তরুণ প্রতিনিধি, শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও উন্নয়ন সহযোগীরা অংশ নেন। ঘোষিত শিশু অধিকার ইশতেহারটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ১৮০ জনেরও বেশি শিশু ও তরুণের অভিজ্ঞতা, মতামত ও আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে প্রণীত।

বিদ্যা অমৃত খান বলেন, “বিজিএমইএ শুধু কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করাতেই সীমাবদ্ধ নয়; আমরা শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করাকেও সমান গুরুত্ব দেই।”
তিনি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, “একটি জাতির অগ্রগতি নির্ভর করে তার শিশুদের সুস্থ বিকাশের ওপর। তাই বাংলাদেশের পোশাক খাত শিশু অধিকারের রক্ষক ও উন্নয়নের সহযাত্রী হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাবে।”
অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্সসহ অন্যান্য বক্তারা উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ পরিচালক আসেফ কামাল পাশাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।











