আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আজ শনিবার (১০ মে, ২০২৫) বিকেল তিনটার পর থেকে গণজমায়েত শুরু হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) ও অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমবেত হচ্ছেন শাহবাগে। প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা।
গণজমায়েতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ এবং আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদসহ বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর আহ্বানে রাজধানীর যমুনা এলাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে রাতভর অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়, যা শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে। পরদিন মিন্টো রোডের মোড়ে ফোয়ারার সামনে তৈরি মঞ্চে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ।
সেখানে এনসিপি নেতৃবৃন্দ ছাড়াও ইসলামপন্থী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা আওয়ামী লীগকে ‘গণবিচ্ছিন্ন’ ও ‘অসাংবিধানিক কার্যক্রমে লিপ্ত’ বলে আখ্যায়িত করে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
জুলাই অভ্যুত্থান ইস্যুকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের প্রতিনিধিরাও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তাঁদের দাবি, দেশে “গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই” এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
গণজমায়েত ঘিরে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যান চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।