June 19, 2025

শিরোনাম
  • Home
  • আন্তর্জাতিক
  • লিবিয়ায় অবৈধ অভিবাসন সংকট মোকাবিলায় যৌথসভা অনুষ্ঠিত

লিবিয়ায় অবৈধ অভিবাসন সংকট মোকাবিলায় যৌথসভা অনুষ্ঠিত

Image

লিবিয়ায় অবৈধ অভিবাসন সংকট মোকাবিলায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মেজর জেনারেল এমাদ মোস্তফা আল-তরাবলুসির সভাপতিত্বে ১৭ মার্চ ২০২৫ তারিখে এক গুরুত্বপূর্ণ যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল।

সভায় লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ অভিবাসনের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, এটি লিবিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতির জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সংকট সমাধানে লিবিয়া সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার, অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন এবং মানব পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল দেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত লিবিয়ার অবৈধ অভিবাসন সংকটের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেন এবং উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ সবসময় নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসনকে উৎসাহিত করে আসছে। তিনি বলেন, বর্তমানে লিবিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি পেশাজীবী বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।

তিনি আরও বলেন, লিবিয়া বর্তমানে ইউরোপগামী অভিবাসীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট দেশ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের প্রলোভনে পড়ে অনিয়মিতভাবে লিবিয়ায় প্রবেশ করছে। বাংলাদেশ দূতাবাস এসব অনিয়মিত অভিবাসীদের দ্রুত দেশে প্রত্যাবাসনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।

রাষ্ট্রদূত লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সম্প্রতি ত্রিপলীসহ লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশি নাগরিকদের অপহরণ করে মুক্তিপণের জন্য নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। তিনি বাংলাদেশি নাগরিকদের অপহরণ বন্ধে লিবিয়ান সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। পাশাপাশি, অনিয়মিত অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সহজতর করতে ‘খুরুজ নিহায়ী’ (ওয়ান-স্টপ সার্ভিস) প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ জানান।

তিনি আরও বলেন, লিবিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের অনাকাঙ্ক্ষিত আটক বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এছাড়া, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টার বিশেষ করে বির আল-ঘানাম ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশিদের দ্রুত পরিদর্শনের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান।

সভায় রাষ্ট্রদূত লিবিয়ায় অনিয়মিত অভিবাসন ও মানব পাচারের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে লিবিয়া সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে লিবিয়া সরকারের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসাথে তিনি মানব পাচার প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে দূতাবাসের কার্যকর সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

Scroll to Top