প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পের নিকট একটি চিঠি প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি অনুরোধ করেছেন যে, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্ক ব্যবস্থার প্রয়োগ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হোক—যাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর উদ্যোগটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে।
“আমরাই প্রথম দেশ যারা এ ধরনের প্রো-অ্যাকটিভ (সক্রিয়) উদ্যোগ নিয়েছি,” চিঠিতে তিনি বলেন এবং উল্লেখ করেন যে, ফেব্রুয়ারিতে উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান ওয়াশিংটন ডিসি সফর করেছিলেন।
এর পর থেকেই উভয় পক্ষ নির্দিষ্ট পদক্ষেপ চিহ্নিত করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশই প্রথম দেশ, যারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) আমদানির জন্য বহু-বছর মেয়াদী চুক্তিতে প্রবেশ করেছে।
বাংলাদেশের উদ্যোগের কেন্দ্রবিন্দু হলো যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য যেমন তুলা, গম, ভুট্টা ও সয়াবিন আমদানিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটানো, যা মার্কিন কৃষকদের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ পণ্যের ওপর বাংলাদেশের শুল্ক হার সর্বনিম্ন। প্রধান উপদেষ্টা ইঙ্গিত দেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর আরও শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ রপ্তানি পণ্য যেমন গ্যাস টারবাইন, সেমিকন্ডাক্টর ও চিকিৎসা সরঞ্জাম।
তুলার দ্রুত বাজারে পৌঁছানোর সুবিধার্থে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত বন্ডেড গুদাম নির্মাণ করবে।
“আমরা কিছু পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বাতিল করছি, প্যাকেজিং, লেবেলিং ও সার্টিফিকেশন সংক্রান্ত নিয়ম সহজ করছি এবং কাস্টমস প্রক্রিয়া ও মানদণ্ড সহজ করার মতো বাণিজ্য সহায়তা কার্যক্রম হাতে নিচ্ছি,” প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন।
“বাংলাদেশ আপনার বাণিজ্যিক এজেন্ডাকে পূর্ণ সমর্থন দিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে,” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেন অধ্যাপক ইউনুস।
বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা একটি আলাদা চিঠি শিগগিরই বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভকে পাঠাবেন।