যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ শু ৭০টি দেশের ওপর নতুন আমদানি শুল্ক (ট্যারিফ) হার ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে সর্বোচ্চ হার ৪১% পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত এসেছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির চূড়ান্ত করার নির্ধারিত সময়সীমার (১ আগস্ট) ঠিক আগমুহূর্তে।

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ২০% ট্যারিফ হার নির্ধারণে সফল হয়েছে, যা শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বী গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশের হার (১৯-২০%) এর সঙ্গে তুলনামূলক সমান। ফলে, বাংলাদেশি পোশাকশিল্পের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান বজায় রয়েছে।

ভারত, যাদের সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি হয়নি, তারা ২৫% ট্যারিফ হার পেয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান আলোচক ড. খালিলুর রহমান বলেন, “আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আলোচনা করেছি। গার্মেন্টস শিল্পের সুরক্ষা ছিল সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষিপণ্য আমদানির অঙ্গীকার করে আমরা নিজেদের খাদ্যনিরাপত্তার লক্ষ্যেও কাজ করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা একটি সম্ভাব্য ৩৫% পাল্টা ট্যারিফ এড়াতে পেরেছি, যা আমাদের জন্য বড় অর্জন। এটি আমাদের গার্মেন্টস শিল্প এবং লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের জন্য স্বস্তির সংবাদ। একইসঙ্গে, আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা বাজারে প্রবেশাধিকার আরও শক্ত করেছি।”

নতুন চুক্তির আওতায় কেবল শুল্ক ছাড় নয়, বরং আমদানিকৃত দেশের অভ্যন্তরীণ নীতিতেও সংস্কারের বিষয় যুক্ত হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার অন্যতম কারণ। প্রতিটি দেশের ওপর আরোপিত ট্যারিফ হার তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি, নন-ট্যারিফ বাধা দূরীকরণ এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়েছে।