আশুলিয়ার স্থায়ী ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে শনিবার (২৬ জুলাই, ২০২৫) মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘ক্লাব নেতৃত্ব সংবর্ধনা ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সম্মাননা জানাতে এই আয়োজনে মিলিত হন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব। সভাপতিত্ব করেন বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক্স স্কুলের ডিন ও ক্লাব সুপারভাইজরি কমিটির আহ্বায়ক মো. মাহবুব আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ইউজিসি মনোনীত সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই নবনির্বাচিত ক্লাব সভাপতিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান ভাইস-চ্যান্সেলর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ স্কুলের ডিন ড. আবু আয়ুব মো. ইব্রাহিম, কন্ট্রোলার অব এক্সামিনেশন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ.এইচ.এম. আবু সাইয়েদ এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্বে থাকা আব্দুল মতিনসহ অনেকে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বক্তব্য দেন। বক্তৃতা প্রদানকারী নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন স্পোর্টস ক্লাবের মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম, মর্যালিটি অ্যান্ড এথিক্স ক্লাবের ওয়ালিদ বিন জামান (ছেলে) ও সিরাজাম মনিারা (মেয়ে), বিজনেস ক্লাবের শেখ তাকিব হাসান, ইইই ক্লাবের মো. মাহমুদুল হক, কালচারাল ক্লাবের ইয়াসির আরাফাত, ইংরেজি ক্লাবের মোশিউর রহমান, ল’ ক্লাবের এস. এম. মোতাশিম বিল্লাহ, সিএসই ক্লাবের মো. আনিস উদ্দোলা এবং গুলশান স্পোর্টস ক্লাবের মো. আসিফ আব্দুল্লাহ। এছাড়াও ডিবেট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান (ছেলে) ও শাথী খাতুন (মেয়ে) বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব বলেন, “মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েটরা দেশ ও বিদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। এই সফলতার পেছনে সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের বড় ভূমিকা রয়েছে, যা আমাদের ১৫টি সক্রিয় ক্লাবের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।”
তিনি আরও বলেন, “ক্লাব সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। পূর্ববর্তী ফ্যাসিস্ট শাসন অন্যায়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দখল করেছিল। তবে গত বছরের জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ম্যানারাত মুক্ত হয়েছে এবং বর্তমান প্রশাসন নানা উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে, যেখানে ক্লাবগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।”
ভাইস-চ্যান্সেলর আরও ঘোষণা দেন, যারা খেলাধুলা, প্রতিযোগিতা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে আনবে, তাদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হবে।
অনুষ্ঠানের শেষে নবনির্বাচিত ক্লাব নেতৃবৃন্দ সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উন্নয়নমূলক উদ্যোগে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।