পোশাক শিল্পের কাস্টমস বন্ড সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও নীতি সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ একটি পত্র কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ)-এর কমিশনার মোহাম্মদ হাসমত আলীর নিকট হস্তান্তর করেছেন বিজিএমইএ’র পরিচালক ফয়সাল সামাদ। বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের পক্ষ থেকে স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে পোশাক খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখতে কাস্টমস প্রক্রিয়াগুলোকে আরও দ্রুত, সহজ ও হয়রানিমুক্ত করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজিএমইএ নেতারা এ সময় বার্ষিক নিরীক্ষা কার্যক্রম সহজীকরণ, ইউডি বহির্ভূত ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি দ্রুত নিষ্পত্তি, সিবিএমএস (CBMS) সফটওয়্যারের মাধ্যমে বন্ড রেজিস্টার সংরক্ষণ, উপযুক্ত কারণ ছাড়া কাটিং তদারকির শর্ত আরোপ না করা এবং বন্ড লাইসেন্সে এইচএস কোড সংযোজনের প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ জানান।
এছাড়া তারা নীতি সহায়তার মধ্যে এফওসি (FOC) ভিত্তিতে কাঁচামাল আমদানি প্রক্রিয়া সহজীকরণ, বন্ডেড প্রতিষ্ঠান হতে নন-বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওয়াশিং, প্রিন্টিং, ডাইং ও এমব্রয়ডারির মতো সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট সংক্রান্ত হয়রানি বন্ধ, বন্ডেড প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে নন-বন্ডেড প্রত্যক্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে পণ্য ও সেবা সরবরাহের জটিলতা দূরীকরণ এবং সাবকন্ট্রাক্ট কার্যক্রম সহজীকরণের বিষয়ে কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিজিএমইএ নেতারা পোশাক শিল্পের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সমাধানের জন্য পূর্বের ন্যায় কাস্টমস হাউজ, বন্ড কমিশনারেট, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরসহ সকল স্টেকহোল্ডারের সমন্বয়ে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি জরুরি ভিত্তিতে পুনর্গঠনের প্রস্তাব দেন।
জবাবে কমিশনার মোহাম্মদ হাসমত আলী বলেন, অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাস্টমস-সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো আরও দ্রুত ও সহজ করার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তিনি বিজিএমইএ নেতাদের আশ্বস্ত করে বলেন, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ) ও বিজিএমইএ’র মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা দ্রুত সমাধান এবং কার্যক্রম সহজীকরণ করে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
সভায় কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ)-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
