সোমবার (৩০ জুন ২০২৫) বাংলা একাডেমির জসীমউদ্দীন ভবনের ২০১ নম্বর কক্ষে “পাণ্ডুলিপির বাংলা প্রকাশনায় প্রতিলিপি এবং পাণ্ডুলিপি সংগ্রহের ভৌত ও ডিজিটাল সংরক্ষণ” শীর্ষক একটি বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি দুপুর ১২:০০ টায় শুরু হয় এবং বিশিষ্ট পণ্ডিত, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং বাঙালি ঐতিহ্য সংরক্ষণে নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তাদের একত্রিত করে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব জনাব মো. কামাল উদ্দিন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুন রশীদ এবং মূল উপস্থাপনা করেন প্রখ্যাত গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং পাণ্ডুলিপি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহজাহান মিয়া।
বিশিষ্ট অতিথি এবং আলোচকদের মধ্যে ছিলেন: কবি আব্দুল হাই শিকদার, সম্পাদক, দৈনিক যুগান্তর, ড. মুনিরা সুলতানা, যুগ্ম সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ড. মো. সেলিম রেজা, সচিব, বাংলা একাডেমি, আন্তর্জাতিক পাণ্ডুলিপি বিশেষজ্ঞ এবং ক্রীড়া সংগঠক জনাব আল মামুন।

প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন ব্যাপারী, অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ (চঞ্চল), অধ্যাপক ড. ময়না তালুকদার, ড. শিশির মল্লিকের মতো বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য গবেষকরা।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন যে প্রাচীন বাংলা পাণ্ডুলিপি ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং পাণ্ডিত্যপূর্ণ জ্ঞানের অমূল্য সম্পদ। তারা আধুনিক প্রতিলিপি, সম্পাদনা এবং ডিজিটাল সংরক্ষণাগার কৌশলের মাধ্যমে এই গ্রন্থগুলি সংরক্ষণ এবং ব্যাখ্যা করার জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তারা উল্লেখ করেন যে, এই উদ্যোগ কেবল একাডেমিক গবেষণাকে আরও গভীর করবে না বরং ভবিষ্যত প্রজন্মের সাংস্কৃতিক বোধগম্যতাকেও সমৃদ্ধ করবে।

সেমিনারটি একটি উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা অন্তর্দৃষ্টি এবং সুপারিশগুলি ভাগ করে নেন। এই সাংস্কৃতিক সম্পদের দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণ এবং অ্যাক্সেসযোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য অনেকেই সম্প্রসারিত উদ্যোগ এবং আন্তঃবিষয়ক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।