বাংলাদেশ মিশন আদ্দিস আবাবায় বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকাল ১৬:৩০ ঘটিকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মিশনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল সিতওয়াত নাঈম, জিইউপি, এনডিসি, এডব্লিউসি, পিএসসি।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ মনজুর-ই-এলাহী, পিএসসি, উপ-প্রকল্প পরিচালক, ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প; জনাব শিহাব উদ্দিন খান, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), ডিআইপি; এবং জনাব মোঃ আনোয়ার পারভেজ, উপসচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
বিশেষ অতিথি লে. কর্ণেল মোহাম্মদ মনজুর-ই-এলাহী ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের আধুনিক প্রযুক্তি, নিরাপত্তা এবং সঠিক ব্যবহারের গুরুত্ব নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত সিতওয়াত নাঈম ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর মাধ্যমে ইথিওপিয়া ও পার্শ্ববর্তী তিন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের নাগরিকদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও বলেন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ই-পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বেশি দেশের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এটি দেশের সম্মান ও কূটনৈতিক অবস্থান আরও সুদৃঢ় করবে।
বাংলাদেশ মিশন, আদ্দিস আবাবা ৬৮তম বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হিসেবে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করায় রাষ্ট্রদূত পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও ই-পাসপোর্ট প্রকল্পকে ধন্যবাদ জানান। তিনি ইথিওপিয়া, সুদান, দক্ষিণ সুদান ও বুরুন্ডিতে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা তিনজন আবেদনকারীর নিকট ই-পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ তুলে দেন। পরবর্তীতে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতকে একটি ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়। রাষ্ট্রদূত ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম ও এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়াও পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, এখন থেকে ইথিওপিয়া, সুদান, দক্ষিণ সুদান ও বুরুন্ডিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।











