August 2, 2025

শিরোনাম
  • Home
  • অর্থ ও বাণিজ্য
  • বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মীদের পোশাকবিধি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার: ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান

বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মীদের পোশাকবিধি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার: ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোশাকবিধি নিয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগীয় সভায় অফিস সময়ে পেশাদার ও মার্জিত পোশাক পরিধানের পরামর্শ দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো সার্কুলারও জারি করা হয়নি।

মিডিয়ায় বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর বিদেশে অবস্থানরত গভর্নরের নজরে এলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তার নির্দেশেই তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান মুখপাত্র।

এর আগে সোমবার (২১ জুলাই) মানবসম্পদ বিভাগ-২ এর এক মাসিক সভার কার্যবিবরণীতে পোশাকবিধি সংক্রান্ত কিছু পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত হয়। সিদ্ধান্তের ১১ (ঘ) ধারায় বলা হয়েছিল, সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পেশাদার পোশাক পরিধানের কথা। এতে পুরুষদের জন্য ফরমাল শার্ট, প্যান্ট ও জুতা এবং নারী কর্মীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও সাদামাটা পোশাক পরার পরামর্শ দেয়া হয়। একইসাথে শর্ট স্লিভ, লেগিংস ও গ্যাবার্ডিন জাতীয় পোশাক পরিহার করার কথাও বলা হয়।

তবে সার্বিক আলোচনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র স্পষ্ট করেন, এটি ছিল একটি পরামর্শমূলক পদক্ষেপ, কোনো বাধ্যতামূলক নির্দেশনা নয়। বোরখা ও হিজাব পরিধানে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি বলেও তিনি জানান।

তিনি বলেন, “বিভিন্ন বয়সী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পোশাকের ভিন্নতা রয়েছে। এই বৈচিত্র্য থেকে সৃষ্ট মানসিক বৈষম্য হ্রাস ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিষয়টি আলোচনায় আনা হয়েছিল। তবে অতিরিক্ত কারুকার্যপূর্ণ পোশাক নিরুৎসাহিত করা হলেও কারও স্বাধীনতা খর্ব করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।”

উল্লেখ্য, সিদ্ধান্তের অন্য ধারাগুলোতে কর্মক্ষেত্রে শালীন আচরণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার এবং দাফতরিক শিষ্টাচার মেনে চলার ওপর জোর দেয়া হয়েছিল।

তবে বিষয়টি নিয়ে জনমাধ্যমে বিতর্ক তৈরি হলে তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এখন এ সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

Scroll to Top