বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি (পিসিএ) নিয়ে প্রথম দফার আলোচনা বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল ২০২৫) বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত ইইউ সদর দপ্তরে শুরু হয়েছে। পিসিএ-র লক্ষ্য হলো বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের জন্য একটি ব্যাপক এবং শক্তিশালী কাঠামো প্রদান করা, যাতে নতুন বৈশ্বিক বাস্তবতা এবং উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভবিষ্যতের মিথস্ক্রিয়াগুলিকে নির্দেশনা দেওয়া যায় এবং বহুমুখী ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ড. মো. নজরুল ইসলাম প্রথম দফার আলোচনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এবং ইইউ পক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউরোপীয় বহিরাগত কর্ম পরিষেবার ইইউর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি। ইইউতে বাংলাদেশের মিশন প্রধান খন্দকার মাসুদুল আলমও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থার প্রতিনিধিরা ব্যক্তিগতভাবে এবং অনলাইনে আলোচনায় যোগ দেন।
প্রথম দফার আলোচনায় বাংলাদেশ এবং ইইউর মধ্যে আরও আকর্ষণীয় এবং অর্থবহ অংশীদারিত্বের জন্য পারস্পরিক স্বার্থ এবং আকাঙ্ক্ষার রূপরেখা তুলে ধরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছিল। অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে ছিল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শাসনব্যবস্থা, জলবায়ু পদক্ষেপ, ডিজিটাল রূপান্তর, সংযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, অভিবাসন, দক্ষতা উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন, মানবাধিকার, মানবিক পদক্ষেপ, সন্ত্রাসবাদ এবং শান্তি ও নিরাপত্তা।
উভয় পক্ষ গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে পিসিএ আলোচনা শেষ করার লক্ষ্যে কাজ করেছে। পরবর্তী দফার আলোচনা পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথম দফার শুরু উভয় পক্ষের অংশীদারিত্বকে আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে, যার লক্ষ্য বাংলাদেশকে ইইউর সাথে পিসিএ স্বাক্ষরকারী প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।