June 18, 2025

শিরোনাম
  • Home
  • শিক্ষাঙ্গন
  • বশেমুরকৃবি’তে পরিবেশের উপর মানবসৃষ্ট ভুমিকম্পের প্রভাব ও ভবিষ্যৎ করনীয় বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

বশেমুরকৃবি’তে পরিবেশের উপর মানবসৃষ্ট ভুমিকম্পের প্রভাব ও ভবিষ্যৎ করনীয় বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) মানবসৃষ্ট ভুমিকম্পের পরিবেশগত প্রভাব ও ফরেস্ট্রি গ্র্যাজুয়েটদের সুযোগ ও করণীয় বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর, ২০২৪) সকাল ১১ টায় ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্ট অনুষদের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বশেমুরকৃবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জি.কে.এম. মোস্তাফিজুর রহমান। সেমিনারের প্রধান বক্তা ছিলেন সিলেট নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের হেল্থ ইনফরমেটিক্স টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ও প্রধান ড. মোঃ রহিমুল্লাহ মিঞা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্ট অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মাইন উদ্দীন মিঞা। এ সেমিনারে ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্ট অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় বাংলাদেশকে ভূতাত্ত্বিক ও ভূমির গঠন অনুসারে ভ‚মিকম্পন প্রবণ অঞ্চল অ্যাখ্যা দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, যেকোন দুর্যোগ মানবসৃষ্ট এবং প্রাকৃতিক এই দুই উপায়ে সংঘটিত হয়ে থাকে। তবে মানবসৃষ্ট ভুমিকম্প মানুষের সচেতনার অভাব থেকেই সৃষ্ট হয়। এ সেমিনারের আলোচনা থেকে মানবসৃষ্ট ভুমিকম্প কীভাবে এবং কেন সংঘটিত হয় সে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা সম্যক ধারণা রেখে পরবর্তীতে একে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করলে এ সেমিনার সার্থক ও ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করেন এ গবেষক ও বিজ্ঞানী।

অন্যদিকে প্রধান বক্তা ড. রহিমুল্লাহ বলেন, বিগত বেশ কিছু বছর ধরে দেশ-বিদেশে যত ভুমিকম্প হয়েছে তার সবকটির পিছনে মানুষের কর্মকান্ডের প্রভাব ছিল বলে তাঁর আলোচনায় প্রমাণিত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তবে এ ভুমিকম্প কেবল ভূমির উপরেই সংঘটিত হয়না, বরং মানবদেহেও (যেমনঃ মৃগীরোগ) সৃষ্ট হয়ে থাকে বলে তাঁর বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনায় উল্লেখ করেন। সিসমোলোজিক্যাল রিসোর্স লেটারে প্রকাশিত সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে ২০১৭ সাল থেকে এক দশকে ১০৮ টি স্থানে মানবসৃষ্ট ভুমিকম্প হয়েছে, যেগুলোর বেশির ভাগ কারণ হিসেবে এনড্রয়েড মোবাইল, স্যাটেলাইট, সুবিশাল স্থাপনা নির্মাণ, পারমাণবিক বিস্ফোরণ, তেল-গ্যাস উত্তোলন, কৃত্রিম জলাধার খনন, খনি খনন ইত্যাদিকে দায়ি করা হয়।

Scroll to Top