পহেলা বৈশাখের প্রথম প্রহরে ঢাকার রমনা বটমূলে শুরু হলো ছায়ানটের আয়োজনে বর্ষবরণের ঐতিহ্যবাহী প্রভাতি অনুষ্ঠান। বাংলার চিরায়ত গান ‘এসো হে বৈশাখ’-এর সুরে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় বাঙালি।
এ বছর ছায়ানট আয়োজনের ৫৮তম পর্বে বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে আলোর প্রতীকে মানবিক মুক্তির আহ্বান। ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ভৈরব রাগে সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে সূচনা হয় পুরো আয়োজনের। অনুষ্ঠানের মূলভাবনায় ছিল—‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’, যা অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর জয়গান হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সাংস্কৃতিক আয়োজনে পরিবেশিত হয় ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক কণ্ঠের পরিবেশনা এবং তিনটি আবৃত্তি। প্রতিটি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা, মানবিক চেতনা ও আত্মজাগরণের বাণী।
অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট সংস্কৃতিকর্মী ডা. সারওয়ার আলী। তিনি বর্ষবরণকে শুধুমাত্র উৎসব হিসেবে নয়, বরং একটি মূল্যবোধের চর্চা হিসেবেও দেখার আহ্বান জানান।
ছায়ানটের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন, ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে।