অনলাইন ডেস্কঃ
গত সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪ রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। বিশেষ করে যখন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে একধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে, তখনই ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা তাঁর পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে চলমান অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন হবে। তিনি বলেছেন, শক্ত পদক্ষেপ নিয়ে পরিবেশ উন্নত করা হবে। যে অবস্থা ছিল, তা এরই মধ্যে অনেকটা শান্ত করে নিয়ে আসা হয়েছে। আস্তে আস্তে আরো ভালো হবে। কারফিউ পর্যায়ক্রমে শিথিল করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ব্যবসায়ীদের অসুবিধা বিবেচনা করেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান দেশের স্বার্থে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি ব্যবসায়ীদের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। সরকার অনেক বেশি চেষ্টা করছে শিগগিরই সব কিছু স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, ব্যবসায়ীদের হৃদয়ে আজ রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এমন ধ্বংসলীলা ব্যবসায়ীরা মানতে পারছেন না। যারা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে, তাদের পরাজিত করার কথাও বলেছেন ব্যবসায়ীরা। জানিয়েছেন, তাঁরা সব সময় সরকারের সঙ্গে ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন।
সাধারণ মানুষ চায় দেশের পরিবেশ ভালো থাক। দেশের বিশেষ সময়ে ব্যবসায়ীরা এক হয়েছিলেন। গত কয়েক দিনে দেশের জাতীয় সম্পদ যেভাবে ধ্বংস হয়েছে, সেটা কেউই কল্পনাও করতে পারেননি। শেখ হাসিনা দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের জানান, মানুষের জান-মাল রক্ষা করার জন্য সরকার কারফিউ দিতে বাধ্য হয়েছে। ব্যবসা সচল রাখতে হবে বলেই তাঁদের ডাকা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। কারণ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে।
