শনিবার (১ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে বিজিএমইএ পর্ষদের মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি।এসময় সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী, মো: সিদ্দিকুর রহমানসহ বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি লিখিত বক্তব্যে জানান, আমরা ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাক শিল্প থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্য নিয়েছি। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারের নীতি সহায়তা আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন। এজন্য আমরা আগামী বাজেটে রপ্তানির বিপরীতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের ন্যায় ০.৫০ শতাংশ, নগদ সহায়তার ওপর আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ, ইআরকিউরের ওপর আয়কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, ২০২৯ সাল পর্যন্ত ইনসেন্টিভ অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেছি।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আসন্ন বাজেটে রপ্তানির স্বার্থে অগ্নি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানির ওপর কর রেয়াত এবং এসব পণ্য বিকল বা নষ্ট হলে প্রতিস্থাপনর জন্য রেয়াতি হারে আমদানির সুযোগ দেওয়া যুক্তিযুক্ত। শ্রমিকদের জন্য ফুড রেশনিং বাবদ বিশেষ তহবিল বরাদ্দ ও নন-কটন পোশাক রপ্তানি ও বিনিয়োগে সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।
বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দেশের পোশাক শিল্পের জন্য প্রস্তাবিত এসব সুবিধা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তিনি।