আজ রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ পথচলায় নানামুখী বাধা ও অপপ্রচার মোকাবিলায় সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চলছে। বিশেষ করে সাইবারওয়ারের মতো নতুন চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে সংগঠনগুলোর প্রস্তুত থাকতে হবে। সাইবার যুদ্ধে বিজয়ী হতে না পারলে রাজনৈতিকভাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।” তিনি তরুণ প্রজন্মকে এসব বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান।
ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টির প্রচেষ্টার বিষয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে একটি বড় বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে। আমরা ধর্মভীরু মানুষ, কিন্তু ধর্মকে ব্যবহার করে রাষ্ট্র বা সমাজে বিভাজন সৃষ্টিতে বিশ্বাস করি না। সবার আগে বাংলাদেশ—এটি মাথায় গেঁথে নিতে হবে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, ছাত্রদল ভ্যানগার্ড হিসেবে সব অপপ্রয়াস প্রতিহত করে বিএনপিকে শক্তিশালী করবে।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বাংলাদেশের অভিভাবক বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা তার চিকিৎসায় নিয়োজিত আছেন। আমরা বিশ্বাস করি, দেশবাসীর দোয়ায় তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
২৪ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ দেশের রাজনীতি ও তরুণদের মানসিকতায় নতুন পরিবর্তন সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আজ সবাই পরিবর্তন চায়—রাষ্ট্র পরিচালনা, চিন্তাভাবনা, বিচারব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা—সব ক্ষেত্রে নতুন চিন্তার প্রয়োজন। পুরোনো রাষ্ট্রকাঠামো আর কার্যকর নয়, নতুন বাংলাদেশ গড়তে কাঠামোগত পরিবর্তন অত্যাবশ্যক।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং সঞ্চালনা করেন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলসহ সিনিয়র নেতারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।











