পাকিস্তানের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট, ২০২৫) সকালে ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের বাংলাদেশে নবনিযুক্ত হাইকমিশনার (মনোনীত) ইমরান হায়দার জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি প্রবাসী, শিক্ষার্থী, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, একাডেমিয়া ও থিংকট্যাঙ্ক প্রতিনিধিরা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। এসময় পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং উপপ্রধানমন্ত্রী/পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ বাণী পাঠ করা হয়।

বার্তাগুলোতে জাতীয় নেতৃত্ব স্বাধীনতা দিবসে জাতিকে অভিনন্দন জানান এবং জাতির জনক কায়েদ-ই-আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, আল্লামা মোহাম্মদ ইকবাল এবং পাকিস্তান আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তারা সশস্ত্র বাহিনী ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং সাম্প্রতিক ‘মারকা-এ-হক’ ও ‘অপারেশন বুনইয়ান-উম-মারসুস’ অভিযানে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিজয়কে স্বাধীনতার গুরুত্ব, জাতীয় গৌরব পুনঃস্থাপন, দ্বি-জাতি তত্ত্বের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি, তারা অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে (IIOJK) আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার আদায়ের ন্যায্য সংগ্রামে নিয়োজিত কাশ্মীরি জনগণের প্রতি অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

হাইকমিশনার ইমরান হায়দার অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানান এবং স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি পূর্বসূরিদের সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। ‘মারকা-এ-হক’ অভিযানের সাফল্যকে তিনি একটি বড় কৌশলগত মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দেন, যা জাতীয় ঐক্য ও সশস্ত্র বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় পাকিস্তানের অঙ্গীকারকে দৃঢ় করেছে। তিনি অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে কাশ্মীরি জনগণের ন্যায্য সংগ্রামে পাকিস্তানের কূটনৈতিক, নৈতিক ও রাজনৈতিক সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।