তুর্কি দূতাবাস আনন্দ উদ্দীপনার সাথে তুর্কি প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করেছে এবং এর প্রতিষ্ঠাতা নেতা গাজী মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
তুর্কি প্রজাতন্ত্রের ঘোষণার ১০১তম বার্ষিকী উপলক্ষে, দূতাবাস মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর, ২০২৪) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একত্রিত করে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন, ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, কূটনীতিকরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তুর্কি প্রজাতন্ত্র দিবস ১৯২৫ সাল থেকে ২৯ অক্টোবর পালিত হচ্ছে, যেদিন অটোমান সাম্রাজ্যের পতন এবং প্রয়াত নেতার নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর আতাতুর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে তুর্কিয়ের নতুন শাসনের ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তীকালে, আতাতুর্ক তুর্কিয়ের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত হয়। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা তার বক্তব্যে ঢাকা ও আঙ্কারার মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি তুরস্কের ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও বিশ্বমানের বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে উৎসাহিত করেন।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ তার দীর্ঘদিনের বন্ধু তুর্কিয়ের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায়।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে সুদৃঢ় ও গভীর বদ্ধমূল সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, এ বছর দুই দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। এটি স্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতীক।
সূত্রঃ বাসস।