বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকাস্থ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মান্যবর অ্যাম্বাসাডর মিস ট্রেসি অ্য্যান জ্যাকবসনের এক সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (২১ জুলাই ২০২৫) বেলা ২টায় রাজধানীর মগবাজারস্থ দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কর্মকর্তা মি. জেমস স্টুয়ার্ট। অপরদিকে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মহিলা বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি সাইদা রুম্মান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবা চৌধুরী সুইট, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সাবেক এমপি ডা. আমিনা রহমান এবং আমীরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।

সাক্ষাৎ শেষে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে নায়েবে আমীর ডা. তাহের জানান, বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূত নির্বাচন, নিরাপত্তা এবং দেশে কোনো সম্ভাব্য হুমকি রয়েছে কি না তা জানতে চান। এছাড়া সন্ত্রাসবাদ, নির্বাচনী রিফর্ম ও গণতন্ত্র প্রসঙ্গে জামায়াতের অবস্থান জানতে চান তিনি।
ডা. তাহের বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, আমরা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। দুর্বৃত্তায়ন ও চাঁদাবাজির রাজনীতির বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে বিশ্বাসী এবং একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পক্ষে আমরা অবস্থান করছি। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো ‘সবের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়’। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতেও পারস্পরিক সহযোগিতার নীতিতে আমরা বিশ্বাস করি।”
বৈঠকে আমীরে জামায়াত যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের এক্সপোর্ট, বিশেষত গার্মেন্টস সেক্টরের ওপর আরোপিত ৩০ শতাংশ ট্যারিফ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সেটি কমিয়ে একটি সহনীয় পর্যায়ে আনার বিষয়ে বিশেষ বিবেচনা কামনা করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, “মানবতা, ধর্মীয় অনুশাসন বা জাতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী কোনো কিছু থাকলে আমরা তার বিরোধিতা করব। তবে যদি তা সত্যিকার অর্থে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে, তাহলে বিষয়টি বিবেচনার আওতায় আসবে।”
সৌজন্য সাক্ষাতের একপর্যায়ে জামায়াতের নারী নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে একটি বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি উপহার দেওয়া হয়।