ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা নৈতিক সহায়তা পাই, অর্থনৈতিক সহায়তা পাই, সংগঠনও পাই। আমরা এক রূপান্তর পর্যায়ে আছি, তাই বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সহায়তা আমাদের প্রয়োজন। চীন আমাদের সহায়তার অন্যতম প্রধান উৎস। আজ আমরা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর এবং একই সাথে চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছি। চীন প্রাচীন সভ্যতার ধারক হয়ে আজ বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে এবং বাণিজ্য ও আলোচনায়ও পারদর্শিতা দেখিয়েছে।”

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ ও চীন শুধু বাণিজ্য ও সংযোগেই নয়, মানুষের হৃদয়ের বন্ধনেও এগিয়েছে। সংস্কৃতি কূটনীতি এ যাত্রায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত, পরিবেশ ও জাদুঘর বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা শুধু নিদর্শন নয়, দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনদর্শনও ভাগাভাগি করেছি। গত এক মাসেই সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে তিনটি বাংলাদেশি দল চীনে প্রশিক্ষণে গিয়েছে। এই অগ্রযাত্রা আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।”

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন তার বক্তব্যে বলেন, “আজ আমরা একসাথে চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বাংলাদেশ-চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছি। ২০২৫ সাল চীনের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। গত ৩ সেপ্টেম্বর চীন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জয়লাভের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘চীনের জনগণ ইতিহাসের সঠিক পাশে এবং মানব সভ্যতার অগ্রগতির পথে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করছে।’ চীন দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে এবং সবসময় বিশ্বশান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য কাজ করছে।”


অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানসহ কূটনৈতিক মিশন, সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।