অনলাইন ডেস্কঃ
গাজীপুরে প্রায় সব তৈরি পোশাক কারখানা শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে চালু হয়েছে। কারখানার নিরাপত্তায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর সমন্বিত টাস্কফোর্স। কারখানা মালিক, পোশাক রপ্তানিকারক ও মালিকদের সমিতির (বিজিএমইএ) নেতারা বলছেন, কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে পোশাক খাতকে এক নম্বর অবস্থানে নিতে চান তারা।
আন্দোলন পরিস্থিতি নিয়ে কয়েক দিন কারখানায় উৎপাদন বিঘ্নিত হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে পোশাক শিল্প। শুরুতে মালিকরা নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কারখানা চালু করেন।

তবে শনিবার (১০ আগস্ট) সেনাবাহিনীর কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স গাজীপুর, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় কাজ শুরু করেছে।
কারখানা মালিকরা বলছেন, গাজীপুরসহ অন্যান্য শিল্প এলাকায় শতভাগ কারখানা চালু করা হয়েছে। এতে শ্রমিকদের উপস্থিতি প্রায় শতভাগ। শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্স সেল গঠন করা হয়েছে। সেনাসদস্যদের ব্যাপক টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, ‘বিজিএমইএ ও সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্সের সহযোগিতায় গত বুধবার থেকে মোটামুটি কারখানা চালু হয়েছে। বুধবার ৮১ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল। বৃহস্পতিবার শতভাগ কারখানা খোলা ছিল। যাদের শিপমেন্ট দরকার ছিল তারা শুক্রবারও খোলা রেখেছিলেন। শনিবারও বিজিএমইএ খবর নিয়ে জানতে পেরেছে শতভাগ প্রতিষ্ঠান খোলা এবং উপস্থিতিও শতভাগ।’

বাংলাদেশের প্রথম তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান রিয়াজ গার্মেন্টস এর পরিচালক ও বুনন এর হেড অব অপারেশন জনাব সালাউদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে গার্মেন্ট শিল্পের মালিকরা আলহামদুলিল্লাহ আজকের গাজীপুর। এখন পুরোপুরি সুন্দর পরিবেশ ফিরে আসতে শুরু করেছে গার্মেন্ট শিল্পের।’
শনিবার (১০ আগস্ট) থেকে সেনাবাহিনী শিল্প এলাকায় ক্যাম্প করে সাত থেকে আটটি, দুপুরে লাঞ্চের সময়, ছুটির সময় প্রত্যেকটি এলাকায় টহল দিচ্ছে। এ ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও কাজ করছে।











