অনলাইন ডেস্কঃ
এফবিসিসিআই-এর সভাপতি জনাব মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সাথে ২০ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকে দেখা করেন। এ সময় ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার ও ড. মো. হাবিবুর রহমানসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার শুরুতে এফবিসিসিআই সভাপতি জনাব মাহবুবুল আলম বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় ড. আহসান এইচ মনসুরকে অভিন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রেমিটেন্স ও রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নেতৃত্বে জোরালো ভূমিকা রাখবে।
তাছাড়া, এফবিসিসিআই সভাপতি ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এই ব্যাংকিং কমিশন কার্যকর হলে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে।
দেশের অর্থনীতির গতি বাড়াতে এফবিসিসিআই সভাপতি ব্যাংক ঋণের সুদের হার স্থিতিশীল রাখা, আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত ডলারের যোগান দেয়া, এসএমইসহ ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা, রফতানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) পরিমাণ বৃদ্ধি এবং অপরিশোধিত ঋণের কিস্তি পরিশোধে মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা ৩ মাসের পরিবর্তে ৬ মাস করার প্রস্তাব রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এ সময় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শোনেন। তিনি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও শৃঙ্খলা ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্মোহভাবে কাজ করবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তির চেয়েও প্রতিষ্ঠানকে প্রাধান্য দেয়া হবে বলে তিনি জানান। গভর্নর বলেন, অন্তবর্তী সরকার একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এসেছে। তাই তারা ব্যাংকিং খাতে সংস্কার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর ও টেকসই হয় এমন পদ্ধতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলে ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এম এ কাশেম, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মো. জসিম উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মো. মুনির হোসেন, ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ, এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি. রহমান, বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিটিএমএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফায়জুর রহমান ভূঁইয়া, বারভিডার সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডনসহ আরো অনেকে।