১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের স্মরণে শুক্রবার (৭ নভেম্বর, ২০২৫) দেশব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’। দিনটি উদযাপন করা হয় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আবির্ভাবের ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণ করে।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আলোচনা সভা, র্যালি, শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। সকালে সারাদেশে বিএনপির সকল কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১০টায় দলের শীর্ষ নেতারা বনানীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।
বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। পাশাপাশি সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দলীয় শাখাগুলোও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করে।
দিবসটি ঘিরে বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলো আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফটো ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং অনাথ শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণের মতো বিভিন্ন আয়োজন করে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর আজও দেশে গণতন্ত্র ধ্বংসের নানা চক্রান্ত চলছে। এই মুহূর্তে ৭ নভেম্বরের চেতনা থেকে শক্তি নিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের পথে অগ্রসর হতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার ও বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতেই বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “৭ নভেম্বরের চেতনাই আমাদেরকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে—একটি সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।”











