June 18, 2025

শিরোনাম

খোলাবাজারে ফের বাড়ল ডলারের দাম

Image

অনলাইন ডেস্কঃ

রেমিট্যান্সে উল্টো গতির খবর শুনেই খোলাবাজারে বাড়তে শুরু করেছে ডলারের দাম। প্রবাসীদের রেমিট্যান্স শাটডাউনের খবরে এক দিনের ব্যবধানে প্রতি ডলারের দাম বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই, ২০২৪) দাম বেড়ে ১২৪ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে ডলার। এর আগে একলাফে ডলারের দাম সাত টাকা বৃদ্ধির ফলে মে মাসের ৯ তারিখ খেলাবাজারে ১২৮ টাকায় উঠেছিল মার্কিন এই মুদ্রার দাম। এখন এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ১২৪ থেকে ১২৪ টাকা ২০ পয়সা। ‌গত রবিবার ও সোমবারও খোলাবাজারে ডলার ১২১ থে‌কে ১২২ টাকায় বি‌ক্রি হ‌য়ে‌ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে চলতি মাসের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। এ ছাড়া দেশে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন করছেন অনেক প্রবাসী। ফ‌লে রে‌মিট্যান্স প্রবাহ ক‌মে গে‌ছে। যার প্রভাব পড়েছে খোলাবাজারে।

এ বিষয়ে মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব গৌতম দে বলেন, ‘মার্কেটে ডলার কম থাকার কারণে দাম বেড়ে গেছে। আন্দোলন পরিস্থিতির কারণে রেমিট্যান্স ঠিকমতো আসছে না। যার কারণে সংকট তৈরি হয়েছে। আজকে মার্কেট প্রাইস ১২৩-১২৪ চলতেছে। সামনে কী হবে বলা যাচ্ছে না।’

এদি‌কে রিজার্ভের ওপর চাপ কমায় বেশি দামে রেমিট্যান্স আনতে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংস্থাটির একজন প্রভাবশালী ডেপুটি গভর্নর রোববার বেশি রেমিট্যান্স আহরণ করে এমন ১২টির মতো বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) এ নির্দেশ দিয়েছেন। ‘ক্রলিং পেগ’ চালুর পর ব্যাংকগুলোতে ডলার রেট সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা হলেও রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মৌখিক নির্দেশের পর বেশ কয়েকটি ব্যাংক রেমিট্যান্স কেনার রেট ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা ৭০ পয়সা অফার করে।

প্রসঙ্গত, হঠাৎই রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটার টান। ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে গত ৯ মাসের ধারাবাহিক অর্জন জুলাইয়ে ব্যাহত হতে পারে। কারণ গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে প্রতি মাসে দুই বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারের আশপাশে বা তার চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। কিন্তু চলতি জুলাই মাসের ২৭ দিনে ১৫৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

খোলাবাজারের ডলার পরিস্থিতির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘খোলাবাজারের ডলারের দরের বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। মার্কেটের দাম কখনো কম, কখনো বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। মার্কেট সারা জীবন এক রকম থাকবে এটা কেউ গ্যারান্টি দিতে পারবে না। মার্কেট মার্কেটের মতোই চলবে।’

Scroll to Top