বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ইউসেপ বাংলাদেশের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হলো গোল টেবিল বৈঠক। ”কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল স্কিলের মাধ্যমে যুবাদের ক্ষমতায়ণ কে সামনে রেখে আয়োজিত আলোচনায় অংশ নেন সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, শিল্পখাতের নেতৃবৃন্দ, যুব প্রতিনিধিরা ও উন্নয়ন সহযোগীরা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. ওবায়দুর রব, চেয়ারপারসন, ইউসেপ বোর্ড অব গভর্নরস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ফাতেমা জাহান, যুগ্ম সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে উদ্ভোধনী বক্তব্য প্রদান করেন ইউসেপ বাংলাদেশর নির্বাহী পরিচালক ড.মো: আবদুল করিম।

গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জনাব উজমা চৌধুরী, ভাইস চেয়ারপারসন, ইউসেপ বোর্ড অব গভর্নরস, জনাব হাসান হাফিজ, সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ডা: ফজলুর রহমান, মহাপরিচালক, বি আই এইচ এস জেনারেল হাসপাতাল, ড.প্রকৌশলী মো: সাকাওয়াৎ আলী, অধ্যক্ষ, ঢাকা টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, ভবিষ্যৎমুখী দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল লিটারেসি এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুনেরা হতে পারে সমাজে শান্তি ও উন্নয়নের চালিকাশক্তি। পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত যুবাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়টিও গুরত্বসহকারে আলোচিত হয়।

ড. করিম বলেন, “দক্ষতা শুধু কর্মসংস্থানের জন্য নয়, শান্তিপূর্ন ও টেকসই সমাজ গঠনের জন্য কারিগরী শিক্ষারও বিকল্প নাই। প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতায় যুবাদের প্রস্তুত করা বাংলাদেশের স্মার্ট উন্নয়ন অভিযাত্রার জন্য অত্যাবশ্যক।”

আলোচনায় অংশ নেন ইউসেপ বাংলাদেশের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ, শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানসমূহ, যুব সংগঠনের প্রতিনিধি এবং ইউসেপ-এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ জোরদার করা, কারিগরি শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা, এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে ঝরে পড়া ও প্রান্তিক তরুণদের অন্তর্ভুক্তি করা। প্রধান অতিথি জনাব জাহেদী অন্তর্ভূক্তিমূলব কারিগরী শিক্ষা ও শোভন কর্মসংস্থান প্রদানে ইউসেপ এর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন ।
আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীরা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, বেসরকারি খাত এবং সিভিল সোসাইটির মধ্যে সমন্বয় জোরদার করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন, যাতে দক্ষতা উন্নয়ন প্রক্রিয়াটি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, অভিযোজনযোগ্য ও ভবিষ্যৎ প্রস্তুত হয়।