অনলাইন ডেস্কঃ
এফবিসিসিআই এর সাধারণ পরিষদে অধিকার আদায়ে সংস্কার”এফবিসিসিআই এর সাধারণ পরিষদের অধিকার আদায়ে সংস্কার” করার লক্ষ্যে ফার্স হোটেল এন্ড রিসোর্টে এক “মতবিনিময় সভা” অনুষ্ঠিত হয় ।গত ২১শে সেপ্টেম্বর শনিবার উৎসব মূখর এই সভা আয়োজনের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক সহ সভাপতি আবুল কাসেম হায়দার, গীয়াস উদ্দিন খোকন, জাকির হোসেন নয়ন ও জাকির হোসেন। মতবিনিময় সভাটি পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার নিহত ও আহতদের জন্য দোয়া এবং দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতায় শ্রদ্ধা নিবেদন আর জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে আরম্ভ হয়।
সভায় এফবিসিসিআই এর সাবেক সহ সভাপতি আবুল কাসেম হায়দার বলেন, এফবিসিসিআই তে পরিচালক ৮০জন। এর মধ্যে ৫৭ জনই মনোনীত পরিচালক। সালমান এফ রহমানের অতীত স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, স্বৈরাচার পতনের পর সালমান এফ রহমানের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে কষ্ট পাচ্ছি। তাই ভবিষ্যতে আর কোন ব্যবসায়ী বন্ধুকে যেন এমন পরিস্থিতিতে না দেখতে হয়। সেজন্য ব্যবসায়ী নেতাদের সরকারকে তেলমারার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
বিশিষ্ট জননেতা ও এফবিসিসিআই এর সাধারণ সদস্য গীয়াস উদ্দিন খোকন বলেন, এখানে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। হাটখোলা ভবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া যাবে না।
এফবিসিসিআই এর সাবেক পরিচালক মাহবুব রুনু বলেন, অটো পরিচালক বাদ দিতে হবে। তা না হলে কিছুই হবে না। সংস্কার না হলে কেউ নির্বাচনে যাবো না বলে তিনি হুশিয়ারি দেন।
সাবেক জনপ্রিয় ছাত্র নেতা ও এফবিসিসিআই এর সাধারন সদস্য জাকির হোসেন পুরো অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করেন। এবং বক্তব্য দান কালে তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সফলতায় আমরা আজ বাকস্বাধীন। তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার নিহত ও আহতদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
উক্ত মতবিনিময় সভায় বিজিএমইএ এর নেতৃবৃন্দ,রহিম আফরোজ এর চেয়ারম্যান সহ দেশের অনেক বিশিষ্ট শিল্পপতি ও অগনিত জিবি মেম্বার গন উপস্থিত হয়ে এফবিসিসিআই এর সংস্কারের বিষয়ে তাদের একাত্মতা প্রকাশ করেন। এবং অনেক জিবি মেম্বার বলেন আমরা সকল পদে এফবিসিসিআই এর জিবি মেম্বারদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি দেখতে চাই। আমরা সেক্টর ভিত্তিক নির্বাচন চাই না এবং অটো ডাইরেক্ট প্রথা ও নমিনেটেড পরিচালক প্রথা চিরতরে বিলুপ্ত চাই।
এফবিসিসিআইয়ের সংস্কার প্রস্তাবঃ
১। কোন নমিনেটেড ডিরেক্টর থাকবে না, অর্থাৎ বর্তমানে প্রযোজ্য ১৭+ ১৭=৩৪ জন নমিনেটেড পরিচালক প্রথা বাদ দিতে হবে
২। সভাপতি, সহ-সভাপতি সহ সকল পদে সরাসরি নির্বাচন দিতে হবে
৩। কেউ দুবারের বেশি পরিচালক পদে দাঁড়াতে পারবেন না
৪। এছাড়াও সেক্টর ওয়াইজ পরিচালক পদ প্রযোজ্য নয়
৫। নতুন সংগঠন অন্তভুক্তিতে ডোনেশন ৫০ লাখের পরিবর্তে সীমিত (যৌক্তিক) পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।