সোমবার (২১ অক্টোবর, ২০২৪) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বলরুমে ইউএসএআইডি-এর এনহ্যান্সড কোস্টাল ফিশারিজ ইন বাংলাদেশ II (ইকোফিশ II) অ্যাক্টিভিটির ফলাফল শেয়ারিং এবং ক্লোজআউট ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই ইভেন্টটি একটি পাঁচ বছরের উদ্যোগের সমাপ্তি চিহ্নিত করেছে যা বাংলাদেশের উপকূলীয় মৎস্য খাতে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলেছে এবং পরিবর্তন করেছে।
ইকোফিশ II অ্যাক্টিভিটি, মৎস্য বিভাগ (DoF) এবং বিভিন্ন অংশীদারদের সহযোগিতায় WorldFish দ্বারা বাস্তবায়িত, উপকূলীয় মৎস্য চাষের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানো, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং উপকূলীয় সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
১৫,০০০ কারিগর মাছ ধরার পরিবারের ৭২,০০০ টিরও বেশি প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগীর সাথে, প্রকল্পটি কক্সবাজারের জোন অফ রেজিলিয়েন্স (ZoR), মেঘনা নদীর মোহনা (MRE), এবং নিঝুম দ্বীপ মেরিন এ (সংরক্ষিত) সহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ জিল্লুর রহমান; ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর মিঃ রিড জে. ড. অ্যান এলিজাবেথ ফ্লেমিং, ডিরেক্টর প্রোগ্রামস অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট ম্যানেজমেন্ট, ওয়ার্ল্ড ফিশ; ড. বিনয় কুমার বর্মন, অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, ওয়ার্ল্ড ফিশ ও একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও সুবিধাভোগীরাও অংশ নেন।
ইকোফিশ II এর সাফল্য তার সামগ্রিক পদ্ধতির মধ্যে নিহিত, যা সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, এবং নীতি সমর্থনকে একীভূত করেছে।
প্রকল্পটি দেখিয়েছে যে টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা শুধুমাত্র সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করতে পারে না বরং উপকূলীয় সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রারও উন্নতি করতে পারে।
যেহেতু বাংলাদেশ তার ব্লু ইকোনমি সম্ভাবনার অন্বেষণ চালিয়ে যাচ্ছে, ইকোফিশ II-এর শেখা পাঠগুলি ভবিষ্যতের উদ্যোগের দিকনির্দেশনার জন্য অমূল্য হবে।
