অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র, কলা, সাইবার নিরাপত্তা, অভিবাসন ও বহুসংস্কৃতি বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী এবং অস্ট্রেলিয়ার হাউসের নেতা টনি বার্ক এমপি এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মোঃ তৌহিদ হোসেনের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর, ২০২৪) দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে।
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রীকে তার বাংলাদেশ সফরের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট ও চেতনা সম্পর্কে কথা বলেন যা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং জনগণের বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত করার জন্য বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত সংস্কার উদ্যোগ সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন। টনি বার্ক এমপি উল্লেখ করেন যে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশী সম্প্রদায় এবং বিশেষ করে তার ভোটারদের বাংলাদেশের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের প্রতি জোরালো সমর্থন রয়েছে। তিনি কার্যকর সংস্কারের মাধ্যমে অতীত সংশোধন এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা সম্পর্কে তাঁর সরকারের আস্থার কথা জানান।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপদ এবং নিয়মিত অভিবাসনের প্রচারের সাথে সাথে অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তার অবস্থানের সাথে একমত হন এবং নিয়মিত অভিবাসনের সুবিধার্থে উভয় পক্ষের কার্যকর উদ্যোগের উপর জোর দেন।
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য মাননীয় টনি বার্ক এমপিকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠানে বর্ধিত ছাত্র ভর্তির জন্য অস্ট্রেলিয়ার সাথে কাজ করতে আগ্রহী। উভয় পক্ষই অস্ট্রেলিয়ার আউটসোর্সিং সেক্টরে বাংলাদেশি আইটি বিশেষজ্ঞদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি অস্ট্রেলিয়ার অব্যাহত নৈতিক ও বস্তুগত অবদানের কথা স্বীকার করেন এবং সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান। ‘সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে নিরাপদ পরিবেশে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন। যদি সুরাহা না করা হয়, তবে এটি বিস্তৃত অঞ্চলের জন্য এবং বিশ্বের জন্য সম্প্রসারণের সাথে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে’ – তিনি বলেছিলেন।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম. আল্লামা সিদ্দিকী এবং মহাপরিচালক (পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়) মোহাম্মদ নরে-আলম উপস্থিত ছিলেন।