September 13, 2025

শিরোনাম
  • Home
  • অর্থ ও বাণিজ্য
  • বিডা’য় ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের পোস্ট-ট্রিপস চ্যালেঞ্জ নিয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

বিডা’য় ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের পোস্ট-ট্রিপস চ্যালেঞ্জ নিয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

Image

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) বুধবার (২৭ আগস্ট ২০২৫) “পোস্ট-ট্রিপস যুগে ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের প্রধান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগসমূহ চিহ্নিতকরণ” শীর্ষক খসড়া গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ সভার আয়োজন করে।

বিডার বহুমুখী হলে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) শাহ মোহাম্মদ মাহবুব। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বিডার বিপণন ও যোগাযোগ উইং-এর মহাপরিচালক (যুগ্মসচিব) কাজী মোহাম্মদ হাসানের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণা দলের প্রধান ড. সীতেশ চন্দ্র বচার খসড়া গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

বক্তারা উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প দেশের ৯৮ শতাংশ চাহিদা মেটাচ্ছে এবং বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করছে। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের সঙ্গে সঙ্গে এই খাতকে কঠোর ট্রিপস সম্মতির আওতায় নতুন সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

উপস্থাপনায় জানানো হয়, সরকার ইতোমধ্যেই নির্বিঘ্ন উত্তরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পেটেন্ট আইন সংস্কার, ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটি পুনর্গঠন, এপিআই পার্ক চালু করা এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা। এসব উদ্যোগ ওষুধের সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করবে এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টিকিয়ে রাখবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে উচ্চমূল্যের ওষুধ, বায়োলজিকস, বায়োসিমিলার এবং এপিআই উৎপাদনে বৈশ্বিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে পারে। এ লক্ষ্যে শিল্প উদ্যোক্তাদের উন্নত ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে উৎসাহিত করা হয় এবং একাডেমিয়াকে পাঠ্যক্রম আধুনিকায়ন ও গবেষণা সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়, যাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা যায়। বক্তারা ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের চাহিদার সঙ্গে শিক্ষাক্রম সামঞ্জস্য করার ওপরও জোর দেন।

অংশগ্রহণকারীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ কেবলমাত্র ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের অর্জন অক্ষুণ্ণ রাখতেই সক্ষম হবে না, বরং পোস্ট-ট্রিপস যুগে একটি আঞ্চলিক হাব হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করবে।

আলোচনার সারসংক্ষেপে বিডার কর্মকর্তারা পুনর্ব্যক্ত করেন যে সরকার, শিল্প এবং একাডেমিয়ার মধ্যে দৃঢ় সমন্বয়ই বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পকে প্রতিযোগিতামূলক, উদ্ভাবনসমৃদ্ধ এবং দীর্ঘমেয়াদে টেকসই করে তুলবে।

Scroll to Top