বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস এর রাস্ট্রদূত আন্দ্রে কার্সটেন্স।
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাৎ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সাপোর্ট কমিটির সদস্যগন।
বৈঠকে তারা বিশেষ করে, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন – সার্কুলার ফ্যাশন, রিসাইক্লিং, জ্বালানি দক্ষতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে শিল্পকে সহায়তা করার জন্য সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।।
বিজিএমইএ প্রশাসক আলোচনায় পোশাক শিল্পে নিরাপদ কর্মক্ষেত্র গড়ে তেলা এবং সামাজিক ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন এবং পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে শিল্পের অগ্রগতিগুলো তুলে ধরেন।
তিনি ডাচ রাষ্ট্রদূতকে বিজিএমইএ এর টেকসই কৌশলগত রূপকল্প- ২০৩০ সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, পোশাক শিল্পের জন্য একটি টেকসই এবং উন্নত ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে বিজিএমইএ উদ্ভাবন উৎসাহিতকরণ, পণ্য ও বাজার বৈচিত্র্যকরণ এবং আরও উৎপাদনশীলতা অর্জনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে শিল্পকে টেকসই রাখার প্রচেষ্টার পাশাপাশি সামাজিক, পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটি নিয়ে কাজ করছে।
আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে টেক্সটাইল টেকনোলজি বিজনেস সেন্টার (টিটিবিসি) কে সহায়তা করার জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
বিজিএমইএ প্রশাসক বাংলাদেশের পোশাক শিল্প যেন আরও জ্বালানি ও সম্পদ সাশ্রয়ী হয়ে উঠতে পারে, – রিসাইক্লিং এবং অন্যান্য পরিবেশগত ক্ষেত্রগুলোতে দক্ষতা অর্জন করতে পারে, সেজন্য নেদারল্যান্ডস সরকারকে জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং তহবিল বরাদ্দ দিয়ে শিল্পকে আরও সহযোগিতা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান।
তিনি শীর্ষস্থানীয় ডাচ ফ্যাশন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউটগুলোর সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের টেক্সটাইল, পোশাক, ফ্যাশন, ডিজাইন এবং ব্যবসা প্রভৃতি বিষয়গুলোতে আরও জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের বিষয়ে নেদারল্যান্ডস এর সহযোগিতা কামনা করেন।
নেদারল্যান্ডস এর রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অগ্রগতির ভূয়সি প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় নেদারল্যান্ডস সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। নেদারল্যান্ডস সরকার পোশাক শিল্পসহ বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাবে।