বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে (RMG) ২৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে যিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তিনি হলেন তামান্না ফারুক থীমা। নেতৃত্ব, উদ্ভাবন এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার অবদান আজ দেশের শিল্প অঙ্গনের জন্য একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।
তামান্না ফারুক থীমা বর্তমানে বিখ্যাত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান BG Group-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাক্ট ইনোভেশন, সার্ভিস ডেলিভারি এবং কর্পোরেট কমিউনিকেশনে তার দক্ষতা তাকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি অসংখ্য সফল প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন, বিশেষত ভবন নির্মাণ, ডিজাইন এবং ইন্টেরিয়র শিল্পে তার উদ্ভাবনী ভূমিকা ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
তার নেতৃত্বে গঠিত TZ Interior Studio বর্তমানে আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন গর্বিত কন্যা—তার পিতা জনাব জয়নুল আবদিন ফারুক, একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, যিনি দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন।
তামান্না ফারুক থীমা বর্তমানে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (BGMEA)-এর সম্মানিত সদস্য এবং আসন্ন নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী (ব্যালট নম্বর ৫৪) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তার নির্বাচনী বার্তা স্পষ্ট:
“Power ও People — এই দুটি শক্তির সমন্বয়েই গড়ে উঠবে পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ।”
বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (SME) পাশে দাঁড়াতে তিনি একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তার প্রস্তাবিত সহায়তা ইউনিট SME ফ্যাক্টরিগুলোকে আর্থিক ও নীতিগত পরামর্শ দেবে, নিয়মিত গাইডলাইন হালনাগাদ করবে এবং বাজার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার কৌশল শিখাবে।
তামান্না ফারুক থীমা মনে করেন, তৈরি পোশাক শিল্পে সময় ও খরচ বাঁচাতে প্রয়োজন Unified Social Compliance Code। এর ফলে আর বারবার অডিট নয়, বরং একটি স্ট্যান্ডার্ড নিয়মেই চলবে ফ্যাক্টরির মূল্যায়ন কার্যক্রম। এতে করে আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের আস্থা যেমন বাড়বে, তেমনি ফ্যাক্টরিগুলোর প্রশাসনিক ঝামেলাও কমে আসবে।
সম্মিলিত পরিষদের হয়ে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—“শিল্পবান্ধব ও সহজ সমাধানই হবে আমাদের অগ্রগতির পথ।”
তামান্না ফারুক থীমার মত দক্ষ, পরিশ্রমী এবং দূরদর্শী নারী উদ্যোক্তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আরও আধুনিক, সাশ্রয়ী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়ে উঠবে—এমনটাই প্রত্যাশা করছে পোশাক শিল্প অঙ্গন।
