আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি ফেনী–১, দিনাজপুর–৩ এবং বগুড়া–৭ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে দলীয়ভাবে জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণামতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ শুরু করেছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রাথমিক প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা বেগম খালেদা জিয়া শুধু তিনবারের প্রধানমন্ত্রীই নন; তিনি এ দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এক প্রবল নেতৃত্বের প্রতীক। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হলেও নিজের প্রজ্ঞা, দৃঢ়তা, ত্যাগ ও আপসহীন ভূমিকার মাধ্যমে তিনি গণতান্ত্রিক রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন।
দেশীয় রাজনীতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তার উপস্থিতি ছিল শক্তিশালী। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে সার্ককে সক্রিয় করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তিন আসন থেকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন রাজনৈতিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দলের নেতাকর্মীদের আশা— বেগম জিয়ার অংশগ্রহণ বিএনপির জন্য নির্বাচনী মাঠে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে।











